বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুঞাপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ বন্ধ এলাকাবাসীর সড়ক অবরাধ ও গাড়ি ভাঙচুর

আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ বন্ধ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়া বালুর ঘাটে থাকা ভেকু (মাটিকাটা যন্ত্র), ট্রাক ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া ভূঞাপুর-তারাকাদি আঞ্চলিক মহাসড়কের তারাই এলাকায় পাইপ আগুন জ্বালিয় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার গারাবাড়ি তারাই এলাকায় স্থানীয়রা সড়কে বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করে। ঘন্টাখানিক অবরোধের পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ভূঞাপুর-তারাকাদি আঞ্চলিক মহাসড়ক যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্তি ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম। এদিকে তারাই-গারাবাড়ি এলাকায় অংশ যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে গাড়ি চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তৈরি করা রাস্তাটি কেটে দিলে পানি প্রবাহ শুরু হয়। জানা গেছে, ভূঞাপুর তারাই, কুঠিবয়ড়া, অর্জুনা, জগৎপুরা ও নলীন অংশের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বালু কাটা শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে। তারাই গ্রামের রজমান আলী বলেন, যমুনা নদীর চর শুকিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের নেতৃত্বে বালু কাটা শুরু হয়েছে। দিন-রাত ভেকু দিয়ে বালু কেটে ট্রাকযোগে বিক্রি করেছে। এতে ফসলি জমি কেটে নিছে তারা। এছাড়া এভাবে নদীর চর কাটায় পাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বর্ষা মসুম। স্থানীয় সিফাত বলেন, যেভাবে বালু কাটা হচ্ছে তাতে পরবর্তিতে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। আমাদের জমিও কেট নিচ্ছে। বাঁধা দিলেই হুমকি দেয়া হয়। বিএনপির নেতারা জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছে। অজুর্না ইউনিয়নের তারাই এলাকার বিএনপি নেতা মোজাম্মেল জানান, স্থানীয়দের দাবী দাওয়া বিষয়টি উর্ধতন নেতাদের জানানো হয়েছে। তাদের বিক্ষোভ বা মানববন্ধন না করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এরপরেও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে এবং বালুর ঘাটে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাওয়ার পর বালু ঘাট বন্ধ আশ্বাস দেয়ার পর তারা সড়ক ছেড়ে দেয়। বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, অবৈধভাবে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলণ হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি স্থানীয়দের কাছ থেকে। এছাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের আশ্বাস দেয়া হয়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----