প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকদের কেন বেছে নিবেন?
সংবাদের আলো ডেস্ক: যদি প্রশ্ন করা হয় প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকরা কেমন? অনেকেই উত্তর দিবেন, সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম মোটেও সহজ নয়। এর অন্যতম কারণ কর্মব্যবস্ততা আর পরিশ্রম অনুযায়ী উপার্জন করতে না পারা। চাকরি ক্ষেত্রে সবাই ছুটি পেলেও সাংবাদিকরা ছুটি থাকলেও মেলে খুব কম। যে কারণে প্রিয়জন এবং পরিবারকে সময়ও দিতে পারেন না। জেনে শুনে এমন মানুষের সঙ্গে নিশ্চয়ই আপনি প্রেম করবেন না।তবে এত কিছুর পরও প্রেমিক হিসেবে বেছে নিতে পারেন সাংবাদিকদের। কারণ সাংবাদিকের সঙ্গে জীবন জড়ালে আপনি অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হবেন, অনেক বেশি অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার ইতিবাচক দিকগুলো-
তারা শহরের সবচেয়ে ভালো জায়গাগুলো জানে
অনেকের ধারণা সাংবাদিকরা নিস্তেজ, অসামাজিক এবং আত্মপ্রেমেই মগ্ন থাকেন। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সংবাদ সংগ্রহণের জন্য তারা দেশে আনাচকানাচে ঘুরে বেড়ান। তারা শহরের সেরা জায়গাগুলো চিনে। প্রেমিক হিসেবে সে আপনাকে সেই জায়গাগুলোতে নিয়ে যেতে পারেন। এমন মানুষের সঙ্গী হতে কে না চাইবে?
সৃজনশীল
সাংবাদিক মানে সৃজনশীল। তাদের গল্প বলার ধরন যেমন আকর্ষণীয় কথা বলাও ধরনও তাই। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার অন্যতম সুবিধা হলো, তিনি আপনাকে সব সময় স্নিগ্ধ উপায়ে মুগ্ধ করবে। এমনকী তার দেওয়া কষ্ট কিংবা অবহেলাও হবে একইরকম সৃজনশীল।
অন্তহীন কথোপকথন
সাংবাদিকরা দেশের বাইরেও বিশ্বের চারপাশে যা ঘটছে তার খোঁজ রাখেন। সুতরাং তাদের সঙ্গে কথোপকথন হয়ে থাকে আকর্ষণীয়। কথা চালিয়ে গেলে তা আপনার জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে একই সঙ্গে আপনিও বিরক্ত হবেন না। কারণ তারা যে কোনো বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে।
বিশ্বস্ত
সাংবাদিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিশ্বস্ততা। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডের বাইরে রাখা থেকে শুরু করে তারা অনেক কিছুই নিরাপদ ও গোপন রাখতে জানে। আপনি যদি একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে।
মাল্টিটাস্কার
অগণিত উৎস, সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা তাদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে জানে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন করতে পারে।
আপনাকে স্পেস দেবে
সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা করবে।
কঠোর পরিশ্রমী
সাংবাদিক হওয়া সহজ নয়। এ পেশায় প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃশর্ত অধ্যবসায়। পিআর- এর সঙ্গে কাজ করা থেকে শুরু করে খবরের উৎসের পেছনে দৌঁড়ানো, কোনোটিই সহজ নয়। তারা ঠিক জানে- কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে।
ভালো শ্রোতা
সাংবাদিকদের অন্যতম আরেকটি গুণ হলো তারা ভালো শ্রোতা। তারা দুর্দান্ত গল্প বলার পাশাপাশি গল্প শোনতেও জানে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলার পারদর্শীতা রাখেন। সহায়ক
সাংবাদিকরা প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার জন্য নিজের সামর্থ্যের বাইরেও যায়। এক্ষেত্রে পরিচিত কেউ হলে তো কোনো কথাই নেই। তিনি তার সবটা দিয়ে চেষ্টা করবে আপনাকে সাহায্য করার।
ফ্রি টিকিটের আনন্দ
আপনার প্রিয় খেলা, কনসার্ট বা একটি শিল্প ইভেন্টে যোগ দিতে চান? আপনার ইচ্ছা হলেই তাকে জানান। কয়েকটি ফোনকলের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকিট পেয়ে যাবেন!
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।