সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ পরিদর্শন করলেন বিএনপি নেতা ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস
নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ এর শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করলেন জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শহরের সুনামধন্য সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে নামের পূর্বে ভিপি নামে খ্যাত নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড়যুগ পর পরিদর্শন ও সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়ায় অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিনন্দন জানান। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে সকলের নিকট দোয়া ও ভালোবাসা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পরিদর্শনকালে বলেন, সমাজ ও জাতীয় আলোকিত মানুষ শিক্ষকগণ। ভিপি নামে প্রতিষ্ঠিত আজ নিজের নামটি পরিচিতি লাভ করেছে এই ঐতিহ্যবাহী কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায়। শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূরীকরণ, কলেজ উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ নানামুখী কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসময় পরিদর্শন ও সাক্ষাতকালে বিএনপি নেতা জহুরুল, মেরাজ,সালাউদ্দিন, বিশাল,রুবেল,মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় প্রথমবার ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচিত ভোটে ভিপি পদে জয় লাভ করেন।১৯৮৯-৯০ শিক্ষা বর্ষে আবারও দ্বিতীয় বার ভিপি নির্বাচিত হন।বারবার নির্বাচিত, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, ক্লিন ইমেজের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে সকলের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। এরপর থেকেই আজও তার নামের পাশে ভিপি বলে জেলাজুড়ে খ্যাত রয়েছে। তাঁর বর্ণাঢ্য ছাত্র রাজনীতিতে সিরাজগঞ্জ সরকারি মহিলা হোস্টেল (জাহানারা হল) ও ছাত্রদের জিয়া হল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯১ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ অনার্স প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন।রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কর্মী বান্ধব নেতা, দলের দুঃসময়ে রাজপথে যাকে সব সময় সর্ব প্রথমেই সোচ্চার দেখা যায় তিনি হলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।