নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জটিকা মিছিল আটক ৫
নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের আট মিনিটের ঝটিকা মিছিল ও আটক ৫ ছাত্রলীগ নেতা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের বালুচরা এলাকায় মিছিলটি বের করা হয়। পরে পুর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে মিছিলটির ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। দিনব্যাপী খোঁজ না পেলেও সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সকলের নজরে আসে। এরপর রাতে পুলিশ ছাত্রলীগের ৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
জানা গেছে শাহাদত হোসাইন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের (ভাতিজা) বড় ভাইয়ের ছেলে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলায় এই প্রথম কোন মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সড়ক দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যান। মিছিল শেষে মোটরসাইকেলে দ্রুত সকলেই এলাকা ত্যাগ করে।
এদিকে মিছিলের ভিডিও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেয়ার করার পর একে একে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও শাহাদত হোসাইন নিজের আইডিতে ভিডিওটি শেয়ার করেন। সেখানে লেখা হয়, দেশরত্ম শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বারুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ।
শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসাইন মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তার পেছনে প্রায় ১৫-২০ জনের মতো নেতাকর্মীও স্লোগান দিচ্ছেন।
তবে ওসব নেতাকর্মীর কারও মুখে মাস্ক, কারও মাথায় হেলমেট, আবার কারও মাথা-মুখ মাফলার দিয়ে প্যাচানো ছিল।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জটিকা মিছিলের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, একদম ভোরে সবাই যখন ঘুমে তখন ময়মনসিংহ থেকে এসে দুই-তিন মিনিট মিছিল করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেছেন। আটক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলার আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় গত ১৭ আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।