গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ বীর মো. আব্দুল্লাহ’র কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ,এফ হাসান আরিফ
মো: সেলিম রেজা তাজ, স্টাফ রিপোর্টার: জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ বীর মো. আব্দুল্লাহ’র কবর জিয়ারত করলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা-এ,এফ,হাসান আরিফ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপদেষ্টা হাসান আরিফ ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল এসে পৌছান। এরপর সরাসরি তিনি বেনাপোল পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ডের বড়আঁচড়া গ্রামে সমাহিত শহীদ আব্দুল্লাহ’র কবরের পাশে যান এবং গ্রামবাসী সহকারে কবর জিয়ারত করেন। এর আগে শহীদ আব্দুল্লাহ’র পিতা-মো.আব্দুল জব্বার ও মাতা-মারিয়া বেগম এর সাথে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা দেন এবং সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন। ঐ সময় বড়আঁচড়া গ্রামবাসীর আয়োজনে শহীদ আব্দুল্লাহ’র স্মরণ সভায় উপদেষ্টা হাসান আরিফ অংশ নেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন-মো.আজাহারুল ইসলাম(যশোর জেলা প্রশাসক),মো.জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ(পুলিশ সুপার,যশোর), কাজী নাজিব হাসান(শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফসার), নুসরাত ইয়াসমিন(সহকারী কমিশনার,ভূমি,শার্শা,যশোর),নিশাত আল নাহিয়ান(এ এস পি,নাভারণ সার্কেল,যশোর),মো.আমির আব্বাস(ওসি,শার্শা খানা),মো. রাসেল মিয়া(ওসি,বেনাপোল পোর্টথানা)।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শার্শা ও বেনাপোলের বৈষম্য ছাত্রদের নেতৃত্ব দানকারী প্রবীণ শিক্ষাবীদ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-স্যার আব্দুল মান্নান,শহীদ আব্দুল্লাহ’র মামা ইসরাইল সরদার,ইদ্রিস আলী ইদু,ইয়াকুব আলী,একরামুল,ইব্রাহীম,হালিম সরদার, বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সভাপতি-মো.সহিদ আলী সহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, বেনাপোল পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি-মো.আতিকুজ্জামান সনি, সাধারণ সম্পাদক-মো.আবু তাহের ভারত,জামাত নেতা-ইয়ানুর রহমান সহ জামাত নেতৃবৃন্দ, শার্শা উপজেলা যুবদল আহবায়ক-মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম,পৌর যুবদল আহবায়ক-মোস্তাফিজুর রহমান বাবু,শার্শা ছাত্রদল আহবায়ক-শরিফুল ইসলাম চয়ন,বেনাপোল পৌর ছাত্রদল আহবায়ক-আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট/২০২৪ সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। মাথায় গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহ (২৩) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে মারা যান। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছিলেন সকলের ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আব্দুল্লাহ। উল্লেখ্য,যশোর পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ শহীদ আব্দুল্লাহ’র পিতাকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে শহীদ আব্দুল্লাহ’র পিতাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।