নেতানিয়াহুর বাড়িতে বোমা হামলায় ৩ সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
সংবাদের আলো ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেহানিয়াহুর বাড়িতে বোমা হামলা সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলে উত্তরাঞ্চলের সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর বাসভবনে এ হামলার ঘটনায় আজ ১৭ নভেম্বর (রবিবার)। ভোরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। তবে গ্রেপ্তারদের নাম-পরিচয় ও জাতীয়তা সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি বিবৃতিতে; বরং এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আগামী অন্তত ৩০ দিন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের নাম-পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।’ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলীয় শহর সিজারিয়ায়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সেই বাড়ি লক্ষ্য করে ২টি ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
নেতানিয়াহু কিংবা তার পরিবারের কোনো সদস্য সে সময় বাসভবনটিতে ছিলেন না। বোমা দুটি বাগানে পড়ায় বাসভবনেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর এ বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। সেবার ও বাড়িতে কেউ না থাকায় কারো কােনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাসভবনের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে শনিবারের ঘটনার জন্য সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে সাধারণভাবে। ইসরায়েলের পার্লামেন্টের স্পিকার আমির ওহানা বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সীমানা প্রাচীর, সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কে উসকানিমূলক স্লোগান ও বার্তা লেখা হয়েছে।
আমি নিশ্চিত যে এসব স্লোগানের সঙ্গে এই বোমা নিক্ষেপের সম্পর্ক রয়েছে।’ ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের সন্দেহ যদি সঠিক হয় এবং সত্যিই যদি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনার জন্য দায়ী সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত এ ব্যাপারটি দ্রুত পরিষ্কার করা। কারণ এ ধরনের হামলা কোনো প্রতিবাদী পদক্ষেপ নয়, বরং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।