সবজির দাম কমলেও, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক
সংবাদের আলো ডেস্ক: সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম। চলতি মাসের শুরুর তুলনায় শেষ সময়ে প্রতিটি সবজিই কমপক্ষে ২০-৪০ টাকা দাম কমেছে। এরমধ্যে দামে সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিকাংশ সবজিই ৬০-৮০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতে আগাম সবজির সরবরাহ বেশ ভালো। আর মৌসুম শুরু হলে এসব সবজির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই সামনের মাসেই সবজির দাম আর কমবে। তবে চড়া দাম শীত মৌসুমের বিভিন্ন শাকের।
এর মধ্যে ফুলকপি ও পাতাকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা এবং লাউ প্রতিটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০, উসতা ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ৭০-৯০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৮০ টাকা এবং টমেটো ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা বলেন, আগের তুলনায় প্রতিটি সবজিই ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম কমেছে। আগে বৃষ্টি-বন্যার কারণে বাজারে সবজির ঘাটতি ছিল। এখন আর তেমনটি নেই। শীতের আগাম সবজি অনেক উঠেছে। তাই দামও কমে এসেছে। আগামী সপ্তাহে আরও বেশি সবজি আসবে। তখন হয়তো দাম আরো কমে আসবে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, কাঁচা মরিচের দামই প্রায় ৪০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছিল। এখন মানভেদে ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর অন্যান্য সবজির দাম তো কমেছেই। শীতের মৌসুমে সবজির সরবরাহ থাকে প্রচুর তাই দামও কম থাকে। আর এখন মানুষজন আগাম অনেক সবজি করছে। যার কারণে এখন আগের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
তবে শীতকালীন বিভিন্ন আগাম শাকের দাম অনেক চড়া। প্রতি আঁটি লাউশাক ৫০-৬০ টাকা, পালং শাক ৩০-৩৫ টাকা, লাল শাক ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ৫০ টাকা, কচু শাক ৪০-৪৫ টাকা এবং মুলা শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।