রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ২০ জনকে সাজা সহযোগীতা নেই পুলিশের

উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি অঞ্চলে যমুনা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছা শিকার করছেন মৌসুমী জেলেরা। খবর পেয়ে দিনভর অভিযান চালিয়ে ২০ জন জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ কেজি মা ইলিশ মাছ ও দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানে পুলিশ কোন সহযোগীতা করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ অক্টবর মঙ্গলবার সকাল থেকে যমুনা নদীর বেলকুচি অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মা ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি করতে অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। এসময় তারা যমুনা নদিতে মা ইলিশ শিকার অবস্থায় ২০ জন মৌসুমী জেলেকে মাছ ও জাল সহ আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিজনকে ১৪ দিন করে সাজা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট আফিয়া সুলতানা কেয়া।

উপজেলা অতিরিক্ত মৎস্য কর্মকর্তা জুয়েল আহম্মেদ বলেন, আগামী ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের যমুনা নদীতে মা ইলিশ ডিম প্রজনন করতে আসবে। এজন্য নির্বিগ্নে মা ইলিশ যেন ডিম প্রজনন করতে পারে সেজন্য মৎস্য অধিদপ্তর নদীতে মাছ শিকার নিষেধ করে নিয়েছেন। এসময় আমরা জেলেদের ভিজিএফ চাল সহ অন্যান্য সহযোগীতা করে থাকি। কেউ যদি এই আদেশ অমান্য করে মাছ ধরে তাহলে তাকে জেল জরিমানা করা হয়। এরি ধারাবাহিকতায় আমরা আজ অভিযান করে নদীতে কারেন্ট জাল, ইলিশ মাছ সহ ২০ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়। আর মাছ গুলো বিভিন্ন এতিমখানায় দিয়ে দেয় হয়। উদ্ধার করা জাল গুলো পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে। বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, আমরা মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করে সাজা দিয়েছি।

আর সকলকে সচেতন করতে এক মাস আগে থেকে মাইকিং,  লিফলেট বিতরন সহ নানা কর্যক্রম চালাচ্ছি। তবে আমরা মৎস্য অভিযানে পুলিশের কোন সহযোগীতা পাচ্ছিনা। এমনকি অসামী ধরে আনার পরেও পুলিশের গাড়ী দিয়ে আসামী নিয়ে যাবে সেই সহযোগীতাও করেনি। আমি আনসার সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান সহ সকল কার্যক্রম করছি। এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন বলেন, মৎস্য অভিযানের জন্য আমাদের একটা টিম সব সময় রেডি রেখেছি। আজ তারা অভিযানে যাবে তা আমাকে বলেনি। আর যখন গাড়ী চেয়েছে তা দেয়া সম্ভব হয়নি কারন আমাদের এই ছোট গাড়ীতে ২০ জন আসামী নেযা সম্ভব হবেনা তাই। তবে আমি পুলিশ সাথে দিয়ে জেলখানা পর্যন্ত আসামী পৌছে দিয়েছি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়