নবীনগরে চিকিৎসককে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ১
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক ডাঃ পারভেজ আহমেদকে হাত পা বেঁধে ও অর্ধ উলঙ্গ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার পারভেজ আহমেদ বাদী হয়ে আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় মামলা হলে গতকাল সোমবার হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। হাসপাতালের মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিন সরকার উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের রফিক উদ্দিন সরকারের ছেলে। রোববার হাসপাতালের একটি রুম থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ওই ডাক্তারকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পারভেজ আহমেদ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে উনার রুমে বিশ্রাম নিতেছিলেন, এসময় মুক্তি হাসপাতালের মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান খন্দকার উনাকে ডাকাডাকি করলে ওনি অনীহা প্রকাশ করায় জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ ওনার রুমে জোরপূর্বক ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম ও অর্ধ উলঙ্গ করে হাত-পা বেধেঁ রাখে। খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। মালিকের সাথে ডাক্তারের অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে কোন বিরোধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুক্তি হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, মুক্তি হাসপাতালে মারামারি হয়েছে এই সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করলেও হাসপাতালের মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালের মালিকের কথামতো ডিউটি না করায় ডাক্তারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।