ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি, অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেফতার
এর আগে, শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১২ ও র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে কক্সবাজারের কলাতলী বিচ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতার আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ি মহল্লার মৃত ছানোয়ারের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী’র অস্ত্রধারী প্রধান ক্যাডার ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানী কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ উল্লেখ করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা বিগত সময়ে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর প্রধান ক্যাডার হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
এ ছাড়াও ৪ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ শহরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে হামলা চালানোর কথাও সে স্বীকার করেছে। যার ভিডিও ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ শহরে পৃথক সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করে এবং কুপিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। এসকল ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার মুছা প্রতিটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত ২ মাস যাবৎ গ্রেপ্তার এড়াতে সে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্বগোপনে ছিল। কক্সবাজার থেকে সুযোগ বুঝে সে সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এসব মামলার অন্যতম আসামি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুকে মৌলভীবাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করেন র্যাব। তারা বর্তমানে যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।