ভূঞাপুরে ৯২ লাখ টাকা জলে
আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৯২ লাখ টাকা জলে পড়ে রয়েছে। বিলের মাঝখানে খালের উপরে ব্রিজ নির্মাণ হলেও রাস্তা না থাকায় সেটি কোন কাজেই আসছে না। বর্ষার পানিতে ব্রিজের চতুর্দিক পানি থই থই করছে।
সরজমিন উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মমিনপুর উত্তরপাড়া চিনাখড়ি-নইলাখড়ি বিলের উপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের যাতায়াতের নেই রাস্তা। ফলে ব্রিজে যেতে নৌকাই ভরসা স্থানীয়দের। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবী, পানি শুকিয়ে গেলে ব্রিজের দুইপাশে রাস্তা করা হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার ক্ষমতা খাটিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে তড়িঘড়ি করেই ব্রিজটির নিম্নমানের কাজ শেষ করেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার ফলদার মমিনপুর বিলের মধ্যে প্রায় ৯২ লাখ টাকা ব্যয় ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছে। ব্রিজটির পাশাপাশি এর দুইপাশে ৫০মিটার করে রাস্তা রয়েছে। ব্রিজ ও রাস্তার কাজ পায় জেলার মধুপুরের বিলাস বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে ওই প্রতিষ্ঠান সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বিএনপি নেতা লিটন।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজটি যতটুকু উচু করা হয়েছে যখন পানি শুকিয়ে যাবে তখন ব্রিজের উপড়ে উঠা যাবে না। ফলে সেই খালের পানি পেরিয়ে বিলে যেতে হবে। ব্রিজটির কাজ শেষ করার কথাছিল চার-পাঁচমাস আগেই। কিন্তু এখনও শেষ করেনি ঠিকাদার। ঠিকাদার তাদের মন-মতনভাবে কাজ করে চলে গেছে।
মমিনপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, কাজ শুরু করার পরই বিলের পানি চলে আসে। পানি আসায় তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার চলে গেছে। গ্রামের ভিতরের যে রাস্তা সেটিই হয়নি সুতরাং ব্রিজে কিভাবে যাবে মানুষজন।
একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের আগে রাস্তা দরকার। ব্রিজটি যেভাবে করেছে তাতে একদিকে হেলে পড়েছে। এতে ব্রিজের উপর পানি জমে থাকে। ব্রিজ যেভাবে করেছে তাতে বর্ষার সময় ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজটি নির্মাণ সামগ্রী ঠিক মত দেয়নি।
ব্রিজটির সাব ঠিকাদার লিটন জানান, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে দুইপাশে রাস্তা করা হবে। অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকাজ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিলের মধ্যে ব্রিজের কাজ এখনও শেষ হয়নি। পানি চলে আসায় কাজ বন্ধ ছিল। পানি শুকিয় গেল আবার কাজ শুরু হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।