বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অর্জিত নতুন স্বাধীন দেশে হিন্দু-মুসলিম বৈষম্য থাকবে না – সাইদুর রহমান বাচ্চু

উজ্জ্বল অধিকারী: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেছেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশ পুনরায় স্বাধীন হয়েছে, নতুন অর্জিত সেই দেশে হিন্দু মুসলিম কোনও বৈষম্য থাকবে না। এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে কয়েকজন হিন্দু ছাত্র-জনতাও জীবন দিয়েছে, তারাও আন্দোলনে যেতে কোনও বৈষম্য করেননি। হিন্দু-মুসলিম যদি কোনও বৈষম্যই থাকে তাহলে এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সফলতা পাবেনা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভায় জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মহাপ্রভূর আখড়ায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি পূজায় যেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকে, সুন্দরভাবে পালন হয় সেই ব্যবস্থা করতে। যেখানে প্রতিমা তৈরি হয় প্রয়োজনে সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। প্রত্যেকটি দুর্গা মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে।

বাচ্চু বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা যেন নির্বিঘ্নে হয় এবং কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে দলের উর্ধতন থেকে শুরু করে আমাদের সর্বস্তরে নির্দেশনা আছে। যেভাবে আপনারা সিরাজগঞ্জে বৃহৎ পরিসরে জন্মাষ্টমী উদযাপন করেছেন ঠিক সেভাবেই যাক জমকভাবে দুর্গা পূজা পালন করা হবে। এসময় তিনি হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে কিছু আলোচনা উপস্থাপন করে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই হিন্দুদের সাথে মিলেমিশে বড় হয়েছি তাই আমি কিছুটা জানি। আমরা মিলেমিশে থাকব, একসাথে পথ চলব।

সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, মসজিদে যদি পাহারা দিতে না হয় তাহলে মন্দিরে পাহারা দিতে হবে কেন। কিন্তু যেহেতু দেশে কিছু ঘটনা ঘটে গেছে তাই কেও যেন কোনও অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে, কোনও বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিতে পারে সেজন্য এটা করতে হচ্ছে। গত সরকারের সময়ে বিচারহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপরে হামলার-হত্যার জন্য, মন্দিরে হামলার জন্য কেন ফাঁসি হবেনা, কেন বিচার হবেনা? গত সরকার বিচার করেননি তাই এই প্রবণতা হয়েছে, এসব ঘটনার সঠিক বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রত্যেকটি ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সাথে কথা বলব। তারাও যেন পূজার প্রতি সার্বিক আন্তরিকতা দেখান ও সহযোগিতা করেন। আপনারা কেও মনে করবেন না যে আমার বাড়ি প্রত্যন্ত এলাকায় তাই নিরাপত্তা হীনতা ভেবে পূজা করবেন না, দয়া করে এটা করবেন না। যত প্রত্যন্ত এলাকাই হোক না কেন প্রত্যেকটি জায়গায় আপনাদের নিরাপত্তায় ও পাহারায় আমাদের লোক থাকবে। আপনারা নির্ভয়ে আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করুন, আমরা সার্বিকভাবে আপনাদের পাশে আছি।

জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা ও শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিংকু কুন্ডুর সঞ্চালনায় এবং জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস, এ্যাড. ইন্দ্রজীৎ সাহা, পুজা উদযাপন পরিষদ নেতা এ্যাড.কল্যান কুমার সাহা, সত্য নারায়ন সাহা, কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সু্বল ঘোষ ও হীরক গুণ, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সুবির কর্মকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ চন্দ্র ভৌমিক, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ গৌর, পরেশ মাহাতেসহ জেলার সকল উপজেলা থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়