বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বেলকুচিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র অপসারণ হলেও, ইউপি চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে

জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র অপসারণ হলেও দেখা মিলছে না ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই তারা ছিলেন আত্মগোপনে। রাষ্ট্রপতি আদেশ ক্রমে উপ সচিব মাহবুব আলমের স্বাক্ষরে ৩২৩ জন পৌর মেয়র ও ৪৯৩ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬ টি  ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দেখা মিলছে না চেয়ারম্যানদের। এতে  ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ কোনো প্রকার সেবা পাচ্ছে না। ইউনিয়ন গুলোতে সচিব স্বল্প পরিসরে দায়িত্ব পালন করছেন।

ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জন্ম নিবন্ধনের কাজে পরিষদে আসলেও চেয়ারম্যান মেম্বার কাউকে পাইনি।

আলম নামে আরেক সেবাপ্রার্থী বলেন, জানি না কতদিন আমাদের এভাবে ভোগান্তি পোহাতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে দ্রুত কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।

তবে ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন প্রমানিক বলেন, আমি তো আগে থেকেই ঢাকায় থাকি সপ্তাহে ৩ দিন ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এর মধ্যে দু’দিন গিয়ে কিছু সময়ের জন্য পরিষদে অফিস করে এসেছি।

ভঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সরকার পদত্যাগের পর থেকে আমার বাড়িতে দুই দফায় হামলা হয়েছে। ১০ তারিখ পর্যন্ত পরিষদে যেতে পারি নাই। তবে এখন পরিষদে নিয়মিত যাচ্ছি। পরিষদে কার্যক্রম ঠিক মত হচ্ছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়