শুক্রবার, ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

৭ ব্যাংকে সালমান এফ রহমানের ঋণ ৩৬ হাজার কোটি, কোন ব্যাংকে কত

সংবাদের আলো ডেস্ক: সম্প্রতি সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর একে একে বেরিয়ে আসছে বড় বড় দুর্নীতির বিষয়গুলো। যার অধিকাংশই এমপি, মন্ত্রি ও আমলাদের নাম উঠে আসছে। সব মিলে দেশে বেশ কিছু বিষয় আলোচণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেসব বিষয়গুলো তুলে ধরেছে দৈনিক পত্রিকাগুলো। সেখান থেকে আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর তুলে ধরা হলো।

(২) কালের কণ্ঠ: ‘হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু’

পত্রিকার প্রধান শিরোনামের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারা দেশে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বাগেরহাটের আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির গতকাল বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) ও তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগটি গ্রহণ করেন। পরে তা অভিযোগ নিবন্ধন বইয়ে নিবন্ধন করা হয়।

কোনো অভিযোগ নিবন্ধনের পর তা মামলা হিসেবে গণ্য করা হয়।

তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, “অভিযোগটি নিবন্ধন বইয়ে নিবন্ধনভুক্ত করা হয়েছে। এই নিবন্ধনের মানে মামলা হয়েছে। আমরা তদন্তকাজও শুরু করে দিয়েছি। আপাতত পেপারওয়ার্ক করছি।”

(২) বণিক বার্তা: শেখ মুজিব হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের হাত, গুজব ছড়িয়েছিল ভারত থেকে

এটি পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৯শে অগাস্ট কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের যুব সংগঠনের প্রধান প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়।

বক্তব্যে দাবি করা হয় ‘উপমহাদেশে সিআইএ ও চীন কতটা সক্রিয়, তা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো’।

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে দেয়া কোনও বক্তব্যের এটিই প্রথম ছাপা নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার গুজবও প্রথম ভারতেই ওঠে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে সময় ভারতজুড়ে নানা ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছিল বলে বণিক বার্তার এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

নয়াদিল্লিতে এমনই এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া পিস অ্যান্ড সলিডারিটি অর্গানাইজেশন। সেখানে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই) রাজ্যসভা সদস্য ভুপেশ গুপ্তা অভিযোগ তোলেন, সিআইএ শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের সহযোগিতা করেছিল। তার ভাষ্যমতে, মুজিব হত্যাকাণ্ড ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমর্থনে সংঘটিত ডানপন্থী ষড়যন্ত্রের অংশ।

(৩) মানবজমিন: দিল্লিতে বসে হাসিনার বিবৃতি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর

পত্রিকার প্রথম পাতার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বিবৃতি দিলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শেখ হাসিনা যেন দিল্লি বসে আর কোনও বিবৃতি না দেন- সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারতের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার  ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে উপদেষ্টা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেন।

কিন্তু এ বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের জবাব কী ছিল জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আমাদের সরকারের অবস্থানটা স্পষ্ট করেছি। এটার জবাব তিনি (হাইকমিশনার) কীভাবে দেবেন? তিনি তো ডিসাইড করতে পারবেন না।”

“তিনি এ নিয়ে কিছু বলতে পারেন না বলেই আমি মনে করি। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি যেটা পারেন, তার সদর দপ্তরে জানানো। আমি নিশ্চিত তিনি এটা সদর দপ্তরে জানাবেন,” বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

(৪) প্রথম আলো: এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও ৫ ব্যাংক ঝুঁকিতে

পত্রিকাটির দ্বিতীয় প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাদে আরও পাঁচটি ব্যাংক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ইচ্ছেমতো লুট করে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে সদ্য বিদায়ী আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।

ঋণের নামে পাচার করা এই টাকা ব্যাংকে ফেরত না আসায় ব্যাংকগুলো দেড় বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাহিদামতো টাকা জমা রাখতে পারছে না। কিন্তু চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকায় তৎকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সায়ে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার টাকা ছাপানোসহ অন্যান্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে এস আলম-নিয়ন্ত্রিত ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছিলেন।

এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব সুবিধা কাটছাঁট করেছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। এখন ব্যাংকটির এক-তৃতীয়াংশ ঋণই গ্রুপটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট। একই বছরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দখল করে এস আলম গ্রুপ।

আগের বছর তারা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এস আলম গ্রুপের হাতে। আর ২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ যায় এস আলম গ্রুপের কাছে।

(৬) কালবেলা: সাত ব্যাংকে সালমানের ঋণ ৩৬ হাজার কোটি

পত্রিকাটির এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি সাতটি ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ৩৬

হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এসব ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো আইন। পর্যাপ্ত জামানতও নেই অধিকাংশ ঋণে। আবার বছরের পর বছর ঋণের অর্থ পরিশোধ না করেই বারবার করেছেন পুনঃতপশিল। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই বিনিয়োগ উপদেষ্টা। রাজনৈতিক বিবেচনায় এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব অপরাধ জেনেও চুপ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এসব ঋণ এখন ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। অধিকাংশ ঋণই খেলাপির ঝুঁকি রয়েছে।

জনতা ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ : সালমান এফ রহমান রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ বের করেছেন। এই ব্যাংকে বেশিরভাগ ঋণই ছিল তার বেনামি। এতদিন তার নামে জনতা ব্যাংকে থাকা ঋণ ১০ হাজার কোটি টাকা দেখিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে তার ২৯ প্রতিষ্ঠানে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ২১ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার ঋণের তথ্য বেরিয়ে আসে।

২০২৩ সাল শেষে জনতা ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটিতে সালমান এফ রহমানের দুই প্রতিষ্ঠানে ২৩ হাজার ৭০ কোটি টাকার ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের ২০ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ফান্ডেড ২০ হাজার ২০৮ কোটি এবং নন-ফান্ডেড ৫৪৪ কোটি টাকা। বেক্সিমকো লিমিটেডে ফান্ডেড ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ও নন-ফান্ডেড ৩২৪ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একক গ্রাহককে মূলধনের ২৫ শতাংশের (ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড) বেশি ঋণ দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে জনতা ব্যাংক একটি গ্রুপকেই ব্যাংকের মূলধনের ৯৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঋণ সুবিধা দিয়েছে।

আইএফআইসি থেকেও নামে-বেনামে ঋণ : সালমান এফ রহমান নিজের মালিকানাধীন আইএফআইসি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীপুর টাউনশিপ প্রতিষ্ঠানের নামে নন-ফান্ডেড ১ হাজার ২০ কোটি টাকা, সানস্টার বিজনেসের নামে ৬১৫ কোটি, ফারেস্ট বিজনেসের নামে ৬১৪ কোটি, কসমস কমোডিটিস লিমিটেডের নামে ৬১২ কোটি, অ্যাপোলো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ৪৫৫ কোটি, আল্ট্রন ট্রেডিং লিমিটেডের নামে ৪৪৯ কোটি, নর্থস্টোন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নামে ৪২১ কোটি, আলফা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের নামে ৫৬৯ কোটি ও অ্যাবসলিউট কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নামে ৪৬৩ কোটি টাকার ঋণ নেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই বেনামি।

বাদ যায়নি ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক : বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকেও সালমান এফ রহমান নামে-বেনামে ঋণ বের করে নিয়েছেন। ব্যাংকটি থেকে এসব ঋণ বহু বছর আগের। কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই নিয়মিত থেকে যাচ্ছেন।

জানা যায়, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ব্লুম সাকসেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে ফান্ডেড ৮৩৬ কোটি টাকা, বেক্সিমকো গ্রুপের অনুকূলে ফান্ডেড ৮২৩ কোটি, বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট ১ ও ২ অনুকূলে ফান্ডেড ১ হাজার ২৩৪ ও নন-ফান্ডেড ৫৯ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন।

সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকে দীর্ঘদিনের ঋণ : তথ্য অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডের ফান্ডেড ৬৬৩ কোটি টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নিয়েছে ফান্ডেড ৩৭৫ কোটি টাকা এবং বেক্সিমকো কমিউনিকেশন লিমিটেড ফান্ডেড ৩০০ কোটি ও নন-ফান্ডেড ৭১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। রূপালী ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডে ৯৬৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকে রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের ১ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুনর্গঠিত ঋণ ১ হাজার

৪৬১ কোটি টাকা। এসব ঋণ পরিশোধ না করার পরও নিয়মিত রয়েছে। অথচ পুনর্গঠিত ঋণের দুই কিস্তি পরিশোধ না করলেই ঋণখেলাপি হয়ে যাওয়ার কথা।

এবি ব্যাংকে রয়েছে চার প্রতিষ্ঠানের ঋণ: এবি ব্যাংকে সালমান এফ রহমানের চার প্রতিষ্ঠান ঋণ রয়েছে। সবগুলো ঋণই পুনর্গঠিত। এ ব্যাংকের ঋণও বছরের পর বছর পরিশোধ করা হয়নি। ঋণগুলো ২০১৫ সালে পুনর্গঠিত করা হয়। বর্তমানে চার প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১২০ কোটি। একই প্রতিষ্ঠানে আরও ৫৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলের ৮৩ কোটি এবং নিউ ঢাক্কা ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৪৫ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনতার বকেয়া ঋণের প্রায় ৪৯ শতাংশ মন্দ ঋণ এবং এর ৩৭.৫ শতাংশ বেক্সিমকো গ্রুপের কাছে প্রাপ্য। এই গ্রুপটির ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান যাকে গতকাল একটি মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

ব্যাংককে পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি একটি একক পক্ষকে ঋণ দেওয়ার অনুমতি নেই। জুন শেষে জনতা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা।

নথি বলছে, জনতা ব্যাংকের কাছে বেক্সিমকোর বকেয়া ঋণের ৭২ শতাংশই খেলাপি হয়েছে।

(৭) আজকের পত্রিকা: পালাবদলে চাঁদাবাজি ও দখলের মচ্ছব

এটি পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ শুরু করেছে নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকার।

দুর্নীতি, দখল, চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন সরকারের উপদেষ্টারাও। কিন্তু এসবে গা করছে না একটি গোষ্ঠী। সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে তারা।

কেউ চাইছে ঠিকাদারি, কেউ দাবি করছে চাঁদা, আবার কেউ ব্যস্ত চেয়ার দখল নিয়ে। ক্ষমতার পালাবদলে যে দখলের মচ্ছব লেগেছে সর্বত্র।

(৮) দেশ রূপান্তর: বিশেষ আইনে বিপুল নয়ছয়

এখানে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বিশেষ আইন পাস হওয়ার পর বেসরকারি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গত ১৩ বছরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনেছে সরকার।

এর মধ্যে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ (কেন্দ্র ভাড়া) বাবদই গুনতে হয়েছে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। যদিও দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এসব কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হলে বিপুল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় হতে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ এবং এ খাতের কর্মকর্তারা।

প্রতিযোগিতা ছাড়া ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান)’ বিশেষ আইনে বিদ্যুৎ কেনার ফলে কী পরিমাণ অর্থের তছরুপ হয়েছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে যে ধারণা পাওয়া গেছে, তাতে এর পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে।

(৯) নয়া দিগন্ত: রাজধানীতে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা

পত্রিকার প্রথম পাতার একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে,  ঢাকার সায়েদাবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া তিন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯), সাঈদ আরাফাত শরীফ (২০) ও অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। গতকাল সকাল ৬টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কৌশলে একজন মাদরাসাছাত্রসহ ওই তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

(১০) সমকাল: তথ্য গোপন করে সরকারকে ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণ

এখানে বলা হয়েছে, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে তথ্য গোপন করে ৬২ দিনে সরকারকে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত অর্থবছরের শেষ সময়ে দেওয়া হয় বিপুল অঙ্কের এ ঋণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখানো হয়, নতুন ঋণ না নিয়ে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা আগের দায় সমন্বয় করেছে। সরকার পরিবর্তনের পর তথ্য গোপন করে টাকা ছাপিয়ে এ ঋণ দেওয়ার ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন এক সময়ে তথ্য গোপন করে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়, যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দেয়, বাজারে টাকার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সরাসরি কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। কেননা সরাসরি ঋণ দিলে বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতি উসকে দেয়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়