বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে প্রজ্ঞাপন জারি

সংবাদের আলো ডেস্ক: নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

প্রজ্ঞাপন জারির আগে সকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে আইমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের অঙ্গসংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন, তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধের পর দলের কাউকে আদালত ছাড়া সরকার অপরাধী হিসেবে শাস্তি দিতে পারে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে আইনের কথা বলছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, সেখানেও আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা করেছি। নিষিদ্ধ করার পরও তাকে সাজা দেয়া যাবে না এমনটি নয়। তবে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সাজার মধ্যে আসবে না। তাদের সম্পদের কী হবে এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। এটা আইনে আছে।

জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের সদস্যদের কী হবে, তারা ফৌজদারি আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে কি না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই দলের অধীন তারা রাজনীতি করতে পারবেন না। তারা যদি বাংলাদেশের কোনো আইনে অপরাধ করে থাকেন, অবশ্যই তাদের বিচার হবে। কিন্তু এটা যদি বলেন, গণহারে জামায়াতের যারা নতুন কর্মী, যারা ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন, তাদেরকে বিচার করা হবে না, এমন গণহারে বিচার করা হবে না।’

জামায়াত আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারেন। আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, তাদের কী হয়েছে, আপনারা নকশালবাড়ির ইতিহাস জানেন। অনেক দল যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে। কিন্তু আমি বলেছি, সেটাকে মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে। পরে এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যা সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে এক ঘণ্টাও লাগতে পারে আবার এক দিনও লাগতে পারে।

এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামকে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করা হলো। এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এ দলকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। আর এবার দলটিকে নিষিদ্ধ করা হলো জন নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়