সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, আতঙ্কে নদী পারের মানুষ 

উজ্জ্বল অধিকারী: মৌসুমী বায়ুর প্রভাব ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীসহ অভ্যন্তর্রীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শুক্রবার (১২ জুলাই)  সকালে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে গত ১২ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।
অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্ট ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুইদিন পানি কমার পরে আবারও যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে জেলার নদী পারের চরাঞ্চল ও নিচু এলাকার মানুষের পাশাপাশি গো খাদ্য নিয়ে মহা সংকটে পড়েছে গবাদি পশুগুলো নিয়ে। বন্যায় গবাদিপশুর চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছে জেলার প্রায় ৫০ হাজার গবাদি পশু। বন্যা দুর্গতরা নিজেদের চেয়ে গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার দুটি পয়েন্টে আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে দুটি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদ সিমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ মৌসুমে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, ইতোমধ্যে বানের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে জেলার ৪ হাজার ৬৩০ হেক্টর ফসলি জমি। এসব জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলার ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৩৬২টি পরিবারের ২৩ হাজার ৮৩৬ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৩৬ জন। তাদের মাঝে ইতিমধ্যে ৬০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও নতুন করে ৪৪০ টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ রয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----