ওই দিনটা কখনো ভুলব না’
সংবাদের আলো ডেস্ক: স্বপ্নের চেয়েও ভিন্ন এক সংবর্ধনা পেয়েছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ রোড কিংবা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত লাখো-কোটি সমর্থককে সামনে রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি। ভারতকে ১৩ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে ভারমুক্ত হলেন রোহিত-কোহলিরা। এমন দিনে কোহলি মুম্বাইবাসীকে শোনালেন, বিশ্বকাপ জয়ের দিনটা কখনোও ভুলবেন না তিনি। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেদিন ওয়াংখেড়েতে সর্বশেষ উৎসবে মেতেছিল ভারতীয়রা। এরপর আর এমন দিন আসেনি তাদের। একের পর এক টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল কোহলিদের।এবার সে আক্ষেপ মেটালেন;টি-টোয়েন্টিকেও বিদায় জানালেন তারা। কিন্তু জয়ের সেই মুহূর্ত নাকি কখনো ভুলবেন না কোহলি। ওয়াংখেড়েতে শিরোপা উদযাপনের সময় সে গল্পটা শোনালেন ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটার, ‘১৫ বছরে রোহিতকে এতটা আবেগরুদ্ধ হতে প্রথম দেখলাম। কেনসিংটন ওভালে যখন সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম (ফাইনালে জয়ের পর), রোহিতও কাঁদছিল, আমার চোখ দিয়েও জল পড়ছিল।ভারতের একটি শিরোপার আক্ষেপ ছিল। সেটা মিটে গেছে। ওয়াংখেড়ে তার পুরোনো উৎসব আবারও দেখতে পেয়েছে।যেটা হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারকে কাঁধে তুলে। এবার কোহলি-রোহিতের হাতবন্ধনীতে। কোহলি বলেছেন, ‘আশা করি, আমরা (রোহিত) দায়িত্বটা সামলাতে পেরেছি। আর ট্রফিটা আবার এখানে (ওয়াংখেড়ে) ফিরিয়ে আনার চেয়ে বেশি আর কী হতে পারে।’ এবার দায়িত্বটা যাচ্ছে তরুণদের দিকে। তবে এমন দিনেও জসপ্রিত বুমরাহকে স্মরণ করতে ভুলেননি কোহলি। ভারতকে শেষ মুহূর্তে শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রেখেছিলেন বুমরাহও। কোহলি তাই তার প্রশংসা করলেন এভাবে, ‘বুমরাহর মতো বোলার এক প্রজন্মে একজনই হয়। তাকে যে আমাদের দলে পেয়েছি, তাতে খুব খুশি।’ বুমরাহ স্পেশাল। আর স্পেশাল বলেই হয়তো ভারতের বিশেষ উৎসবেও মিশে আছে তার বড় অবদান।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।