সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ভারতে বসবাস করা নারী নিহত
নিহতের বড় ভাই হাসেম আলী জানান, ৩০ বছর আগে আমার বোন ভারতে পাড়ি জমায়। সেখানে বিয়ে করে বিহারের একটি শহরে স্বামীর সাথে বসবাস করে আসছিলেন। দুই বছর আগে তারকাটা পেরিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। কয়েক সপ্তাহ থেকে আবারো ফিরে যান বিহারে। পরে আমার বোনের স্বামী মারা গেলে বর্তমানে তার স্বামী-সন্তান কেউ না থাকায় জীবনের শেষ সময়টুকু আমাদের কাছে কাটাতে চেয়েছিলো। সেই আশায় গত দেড় বছর যাবত চেষ্টা করেও আসতে পারেনি নিজ দেশে। গত তিন দিন ধরে সীমান্তের ওপারে নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার নবীনগরে অবস্থান করছিলেন তিনি।
রবিবার রাতে আমাদের সাথে তার শেষ কথা হয় মুঠোফোনে। মধ্য রাতে খবর পাই তারকাটা পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ কালে নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পে সদস্যদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। বাধ্য হয়ে গত ৩০ জুন রবিবার রাতে খালপাড়া সিমান্তে তারকাটা পাড়ি দিতে গিয়েই বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় তার। তার লাশটি আমরা নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিএসএফ কিছুই জানায়নি। আমার বোনের মুখটি শেষ বারের মতো দেখতে পারবো না। নিহতের ভাইয়ের ছেলে বিপ্লব জানান, আমার ফুপু তারকাটা পার হয়ে আমাদের বাড়িতে আসার জন্য চেষ্টা করছিলেন। ফোনে কয়েকবার তার সাথে কথা হয়।রাতে জানতে পারি বিএসএফ’র গুলিতে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে আমরা স্থানীয় বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পে লাশ ফিরে পাওয়ার আশায় যোগাযোগ করি। ভারতীয় অভ্যান্তরের ঘটনায় বিজিবি কোন ভাবে লাশ পাওয়ার আশা দিতে পারেনি। এদিকে সীমান্তে নিহতের ঘটনায় বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মন মহোন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খালপাড়া সিমান্তে নিহতের ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছুই জানায়নি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।