উল্লাপাড়ায় নিয়োগ নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
রায়হান আলী: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ধরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিরাপত্তা কর্মী,নৈষ্যপ্রহরী, আয়া এবং পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ৫ টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করে স্কুল পরিচালনা কমিটি। এতে নিয়োগ নিয়ে চাকরি আবেদন প্রার্থীদের মধ্যে অসচ্ছতা দেখা দিলে এই নিয়োগ বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দেয় অন্যান্য প্রার্থীরা। নিরাপত্তা কর্মী এবং নৈষ্য প্রহরী পদে টাকা লেনদেনের খবর পেয়ে নিয়োগ বন্ধে সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা করেন এই পদের চাকরি প্রার্থী মোঃ আতিকুর রহমান এবং মাহমুদুল হাসান। আদালত এই পদে নিয়োগ বন্ধ করে দেয়। পদে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরি প্রার্থীদের কাছে টাকা লেনদেনের অভিযোগ অন্যান্য ৩ টি পদে নিয়োগ বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই বিতর্কিত স্কুলে আবারও ৩ টি পদে শনিবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে ।
এই পরীক্ষায় আয়া পদে সুমাইয়া খাতুন, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে হৃদয় হোসেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মোঃ সানোয়ার হোসেন এর সাথে বিপুল পরিমাণে অর্থ লেনদেন হয়েছে। এবং এদের কেই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে গুঞ্জন আছে। এছাড়াও শনিবার এর তিন পদে পরীক্ষায় চাকরি প্রার্থীর প্রার্থী সবাই কে এডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এতো বিতর্ক সত্বেও এই নিয়োগে পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে হৃদয় হোসেন, আয়া পদে সুমাইয়া খাতুন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মোঃ সানোয়ার হোসেন কে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছে স্কুলটির সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম। জহুরুল ইসলাম এই ৩ টি পদে নিয়োগের জন্য ৩০ লক্ষাধীক টাকা লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আতিকুর রহমান নামে নিরাপত্তা কর্মী পদে চাকুরী প্রার্থী অভিযোগ করেন সভাপতি জহুরুল ইসলাম চাকরি দেওয়ার কথা বলে আগেই অর্থ লেনদেন করেছে, বিষয়টি তিনি জানতে পেরে আদালতে মামলা করেছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন জহিরুল যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের কে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে, বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন এজন্য তিনি আশঙ্কা করছেন যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তিনটি পদের জন্য তাদের কেই নিয়োগ দেওয়া হবে। আয়া পদে চাকুরী প্রার্থী শারমিন খাতুন নামে একজন অর্থ লেনদেনের কথা জানতে পেরে অনেক আগেই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান সুমাইয়া নামে একজন প্রার্থী তার কাছে সভাপতি টাকা লেনদেন করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে, তাকেই চাকরি দেওয়া হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি জানান নিয়োগ যদি আগেই দেয় টাকা নিয়ে তাহলে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার কি দরকার। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা শামসুল হক জানান শনিবার নিয়োগ পরীক্ষার কথা থাকলেও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।