বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

এবার বিএনপিতে প্রবাসী মহাসচিব’

নিজস্ব প্রতিবেদক: লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসী জীবনযাপন করছেন। প্রবাসী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পর কী এবার বিএনপিতে প্রবাসী মহাসচিব হচ্ছেন এই প্রশ্নটি এখন জোরেশোরে আলোচনায় উঠে এসেছে। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের মহাসচিব পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।’ বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, দলের পরবর্তী নতুন মহাসচিব হিসেবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়া সম্মতি জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার মতামতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।উল্ল্যে, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য যে, বিএনপির মহাসচিব পদে থাকছেন না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি ফিরোজায় বেগম খালেদা জিয়ার কাছে একাধিক গিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন।

এছাড়া লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছেও মির্জা ফখরুল জানান যে, তিনি এখন দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অপারগ। বেশ কিছু কারণেই তিনি দলের মহাসচিব পদে হিসেবে থাকতে চান না বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তার নিজে শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি রয়েছে। এই অসুস্থতার জন্য তাকে যেটুকু সময় দলের জন্য দেওয়া উচিত সেটা তিনি দিতে পারছেন না। এ জন্য তার মহাসচিব পদে থাকা সমীচীন নয় বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি তার স্ত্রী দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই অবস্থায় স্ত্রীকে তার সময় দেওয়া উচিত এবং এই অসুস্থতার চিকিত্সার জন্য স্ত্রীর পাশে থাকতে চান। এজন্য মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তবে এখন এতোদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কেউই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হননি। বরং তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন বলে দাবি বিএনপির সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া উভয়ের ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো একজন বিশ্বস্ত মহাসচিব খুঁজছিলেন জিয়া পরিবার। আর সে বিবেচনায় এখন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে মহাসচিব করতে চান বেগম খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য যে, খালেদা জিয়ার প্রয়াত বড় বোন খুরশীদ জাহান হকের (চকলেট’) মেয়ের জামাই হলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।সেই হিসেবে সালাহউদ্দিন আহমেদ জিয়া পরিবারেরই একজন সদস্য। আর এ কারণেই সালাহউদ্দিন আহমেদকেই এখন মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দিতে চান বেগম খালেদা জিয়া। আর শেষ পর্যন্ত যদি সালাহউদ্দিন আহমেদকে মহাসচিব করা হয় তাহলে বিএনপির শীর্ষ দুই পদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারচেয়াম্যান এবং মহাসচিব দুজনই হবেন প্রবাসী। উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ভারতে আটকের ৮ বছর পর গতবছর ১৩ জুন দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস পান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। এবং তাকে ৩ মাসের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরে আসেননি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়