ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ সদস্যের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক পুলিশ সদস্য। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে কনস্টেবল কাওসার আলীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। এ ঘটনায় পথচারী আহত হয়েছে বলে শুনেছি।’ ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্য মানসিক বিকারগ্রস্ত। এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি’) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে পুলিশ সদস্য। আমরা এমন খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটিসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’ গুলি করা এবং গুলির শিকার হয়ে নিহত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যের নামও জানা গেছে। এরা হলেন কনস্টেবল মনির এবং কনস্টেবল কাউসার। তবে আহত সাইকেল আরোহীর নাম জানা যায়নি।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে কথা কাটাকাটি চলছিল কনস্টেবল মনির ও কনস্টেবল কাউসারের মধ্যে। সেই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিজের সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করে কাউসারকে গুলি করেন মনির।’ পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘৮ তারিখ রাত ১১টা ৪৫মিনিটে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হয়েছে। এছাড়া কাউসার আহমেদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেনের দেহে তিনটি গুলি লেগেছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।