সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্কে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য পাইপ স্থাপন করার সময় মাটি ধসে পড়ায় মো. সোহাগ (২৫) নামে এক একজন শ্রমিকের শরীরের প্রায় অর্ধেক পাইপে ও অর্ধেক মাটির ভিতরে চাপা পড়েন। পরে খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা এসে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করেন। এসময়টা তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করে বাঁচিয়ে রাখা হয়। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ি দুখিয়াবাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ারসার্ভিস। মাটিচাপা পড়া শ্রমিক মো. সোহাগ ভোলা জেলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ এলাকার মো. সালামের ছেলে বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
সেসময় তার সঙ্গেই কাজ করা মাটিচাপা পড়া সোহাগের এলাকার আরেক শ্রমিক কামরুল হাসান বলেন, আমরা একসঙ্গে পাইপের ভেতর দিয়ে ঢুকে মাটি কেটে কেটে পাইপ স্থাপনের কাজ করছিলাম। এ সময় আমরা পাইপের মধ্যে তিন-চারজন ছিলাম। তখন সোহাগের মাথা থেকে প্রায় পেট পর্যন্ত পাইপের ভিতরে ছিল। এ সময় হঠাৎ এ উপর থেকে মাটি ধ্বসে পড়ে। তখন তার পেট থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে চাপা পড়ে। পরে তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন সেট করে দেই এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে সে পাইপের ভিতরে সুস্থ ছিল। উদ্ধার অভিযান চলাকালেও আমি নিজে পাইপের ভিতর দিয়ে কয়েকবার গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে এসেছি।
সিরাজগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, আমরা ৪টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসেই পাইপে আটকা পড়া শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি ও অক্সিজেন সরবরাহ করি। এরপর এক্সক্লেভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় তাকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। তিনি আরও বলেন, তার শরীরের ৩০ ভাগ পাইপের ভিতরে আটকা ছিল ও বাকি ৭০ ভাগ মাটিচাপা পড়েছিল। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রোকনুজ্জামান বলেন, ওই শ্রমিককে এখানে আনা হলে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বড় কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। তিনি ভালো ও শংকামুক্ত আছেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।