শাহজাদপুরে কাজ না করেই কবরস্থানের বরাদ্দের টাকা গায়েব করলেন ইউপি সদস্য : এলাকাবাসীর ক্ষোভ
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের কান্দা বাসুরিয়া কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলাপরিষদ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পোরজনা ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস কবরস্থান কমিটি এবং এলাকাসীকে অবগত না করে প্রকল্প সভাপতি হয়ে চুক্তি মোতাবেক চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ১লাখ ১২হাজার ৫শত টাকা উত্তোলন করেন। চুক্তি মোতাবেক প্রকল্পের ১ম কিস্তি উত্তোলনের ১মাসের মধ্যে পুরো কাজ সমাপ্তির নিয়ম থাকলেও কোন প্রকার কাজ না করেই ইউপি সদস্য এবং প্রকল্প সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস পুরো টাকাই গায়েব করে দেন।
বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আনিসুর রহমান টাকা ফেরৎ চেয়ে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বরাবর চিঠি প্রদান করেছেন। জেলা পরিষদ থেকে গত ১৮ মার্চ ইস্যু করা চিঠিতে কাজ না করায় কেন প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ৩ কর্মদিবসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে জেলা পরিষদ থেকে চিঠি দেওয়ার পর এলাকায় জানাজানি হলে ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জনগণ। কবরস্থানে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করায় প্রকল্প সভাপতির কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রবিবার দুপুরে সরেজমিন গেলে কান্দা বাসুরিয়া কবরস্থানের সভাপতি আব্দুস ছালাম, এলাকার মুরুব্বি আবুল কালাম বালাম, কামরুল ইসলাম গ্যাদন, ইউসুফ আলী মণ্ডল, শামসুল আলম খা, সোহরাব আলী, সোলেমান হোসেন, মিজান, শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানা সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস কবরস্থান কমিটি এবং এলাকার কাউকে না জানিয়ে জেলা পরিষদ থেকে কবরস্থানের নামে আড়াই লাখ টাকার বরাদ্দ এনে কোন কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছে। কবরস্থানের টাকা গায়েব করায় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানান, জেলা পরিষদের বরাদ্দ পেতে অনেক খরচ করতে হয়। দেরিতে হলেও আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম ভিপি মুঠোফোনে জানান, কান্দা বাসুরিয়া কবরস্থানের নামে জেলা পরিষদ থেকে আড়াই লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হলেও কোনরকম কাজ না করায় কারণ জানতে চেয়ে প্রকল্প সভাপতি বরাবর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আনিসুর রহমান মুঠোফোনে জানান, জেলা পরিষদের বরাদ্দের কাজে কেউ গড়িমসি করলে আমাদের দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সে মোতাবেক তাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন সে চিঠির জবাব দিয়েছে কিনা সেটা ফাইল দেখে বলা যাবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।