মদনে দুপক্ষের উত্তেজনা, নিরসনে প্রশাসনের উদ্যোগ
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের বারঘরি গ্রামে সরকারি খাস জমি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত জায়াগায় একটি পক্ষ দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মারামারি,মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে সমযোতার বৈঠকে বসেন।
গোবিন্দশ্রী মৌজার ৩৭৪/৭৫ দাগের ১ একর ৮৮ শতাংশ জমি সি এস হিন্দু (জমিদার) ও এস এ রেকর্ড বাংলাদেশ সরকারের নামে থাকলেও একটি মহল অভিনব পন্থায় তাদের নামে বিআর এস করে জমিটি দখলে নেয়ার পায়ঁতারা করছে। এতে খেলার মাঠের লোকজনের সাথে জমির মালিকানা দাবিদারদের মতবিরোধ দেখা দেয়।
খেলার মাঠের পক্ষের লোকজনের দাবি আমাদের এলাকার ছেলেরা দীর্ঘ ১শ বছর ধরে সরকারি জায়াগায়টি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। অপর পক্ষ বি আর এস মূলে জমির মালিকানা দাবি করছে। এ নিয়ে ইদানিং ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এ ব্যাপারে মদন সহকারি কমিশনার ভূমি সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য বি আর এস মালিকদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার মাঠের জায়াগা নিরুপন করে ঈদের পর চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে মাঠে খেলাধুলা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া এলাকাবাসীকে পরামর্শ দেন।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এটি এম আরিফ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছ,গোবিন্দশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন,এস আই শরিফসহ এলাকারগণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও গনমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিআর এস মূলে জমির মালিকানার দাবিদার জুয়েল চৌধুরী জানান, বিআর এস মূলে আমার ৫ চাচা এ জমির মালিক । গ্রামবাসী অহেতুক আমাদেরকে হয়রানি করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাখন মিয়া জানান, শত বছর ধরে আমাদের গ্রামের ছেলেরা এই মাঠটিতে খেলাধুলা করে আসছে। একটি চক্র অবৈধভাবে বিআর এস মূলে জমিটি মালিকানা দাবি করছে। এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় মারামারি,মামলা মোকাদ্দমা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের আদেশ মানব।
গোবিন্দশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন জানান, এই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এলাকার কয়েক জনের নামে এই জমিটি বিআর এস রেকর্ড হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেছে। প্রশাসনের ভূমিকায় উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ খুবই খুশি হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, বর্তমানে জমিটি নিয়ে এলাকায় যে উত্ত্যপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কোন পক্ষই যেন বিরোধে না জড়ায় এ বিষয়টি বলে এসেছি। এই জমিটি নিয়ে সরকার মামলা করেছে। ঈদের পর চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাঠে খেলাধুলা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।