মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

টাঙ্গাইলে মাত্র ৬০ টাকায় চাল ডাল তেল ছোলা মুড়ি ও পেঁয়াজ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সুবিধা বঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাত্র ১০ টাকা করে মাত্র ৬০ টাকায় চাল, ডাল, তেল, ছোলা মুড়ি ও পেঁয়াজ বিক্রি করেছে শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা সদরের বস্তির শতাধিক পরিবার নামমাত্র মূল্যে এসব পণ্য কিনতে পেরে খুশি সুবিধা বঞ্চিতরা। রমজানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন আয়োজকরা।

জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে সুবিধা বঞ্চিত ও স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে রমজান উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় পণ্য বিক্রি করার উদ্যোগ নেয় শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন। ছয়টি পণ্য ১০ টাকা করে নেওয়ার সুযোগ পায় বস্তির শতাধিক পরিবার। এরমধ্যে ছিল- এক কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি মুড়ি, আধা কেজি ছোলা ও আধা কেজি পেঁয়াজ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৯০ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা প্রতিটি পণ্যের মূল্য ১০ টাকা হারে মাত্র ৬০ টাকা দিয়েই ছয়টি পণ্য কিনতে পেরেছেন।

বস্তির বাসিন্দা সামিয়া আক্তার জানান, বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে এতোগুলো পণ্য তারা কিনতে পারতেন না। রমজান উপলক্ষে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে তারা খুশি। এতে তাদের অনেক উপকার হয়েছে।

অপর বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার জানান, বর্তমানে বাজারে সব কিছুরই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। এই পরিস্থিতে তারা ৬০ টাকা দিয়ে ছয়টি পণ্য নিতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে কিছুদিন ভালোভাবে রোজা পালন করতে পারবেন। আয়োজকদের কাছে দাবি এ উদ্যোগ মাঝে মাঝেই নেওয়া হোক।

শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্য আহসান হাবিব জানান, তিনি চার বছর ধরে এ সংগঠনের সাথে রয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা এ রকম সমাজসেবা করে থাকেন। নিম্ন আয়ের মানুষদের তৃপ্তি দেখে তারাও বেশ খুশি। রোজার সময় তারা অতিস্বল্প বা বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বেসরকারি সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান, বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। রোজার মধ্যে এর দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। রমজান মাসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্যই ক্ষুদ্র এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে এমন আয়োজন করা হবে। পবিত্র ঊদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যে তারা ঈদ বাজারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, সমাজের বিত্ত্ববানরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলে দরিদ্র এসব মানুষের খাবারের অভাব হবে না। তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। তারা নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তুলে সেই অর্থ দিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়