মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ভূমি দস্যুদের তান্ডবে অতিষ্ঠ কৃষক

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভূমিদস্যুদের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এক কৃষক পরিবার। জমিতে বীজ বপণ থেকে শুরু করে সার দেওয়া, আগাছা নিড়ানি, ফসল কাটাসহ প্রতি ক্ষেত্রে ভূমিদস্যুরা তান্ডব চালায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আওনা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী ওই কৃষক পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চন্দনপুর গ্রামে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৭বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন কৃষক সুরুজ মিয়া। কয়েক মাস আগে ওই জমিতে ভূট্টা লাগিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার দুই ছেলে ও দুই ভাতিজা মিলে ওই জমিতে সার দিতে যান। যথারীতি চলছিল সার ছিটানোর কাজ।

এমন সময় হঠাৎ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু বাবলু ও রশিদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক তাদের দিকে তেড়ে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, মিজানুর ও সাইফুল ইসলাম ভয় পেয়ে যান। পরে তারা জীবন বাঁচাতে সার ছিটানোর কাজ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে চলেন যান।

এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর একই জমিতে ভুট্টার বীজ বপণ করতে গিয়ে ওই দস্যু বাহিনীর হামলার শিকার হন ১৫ জন। এ ঘটনায় ভূমিদস্যু আব্দুর রশিদকে প্রধান ১৬ জনের নামে থানায় মামলা করেন কৃষক সুরুজ মিয়া।

পুলিশ এ মামলায় কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে ফের তান্ডব শুরু করে।

এ বিষয়ে সুরুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ছেলে ও ভাতিজারা মিলে চন্দনপুর গ্রামে ভূট্টা ক্ষেতে সার দিতে যায়। সেখানে ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুর রশিদ ও বাবলুর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে। ভয়ে তার ভাতিজা ও ছেলেরা সেখান থেকে পালিয়ে আসে।

অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মামলার হাজিরা দিতে তিনিসহ ১৭ জন সিরাজগঞ্জে গিয়েছেন। কে বা কারা তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাড়া করেছে বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে একই জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়