রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

যমুনা সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপকের (হিসাব ও অর্থ) বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতিসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কারখানার নির্মান বিভাগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের তদারককারী সকল বিভাগ বিল পরিশোধের সুপারিশ করলেও তা কাজে আসে না। বিল আটকে রেখে উৎকোচ আদায় করাই তার কাজ। অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করছেন মহা-ব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল সেরনিয়াবাত।

কারখানার একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর যমুনা সারকারখার হাউজিং এর টয়লেটের একটি ট্যাংকি মেরামতের জন্য মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিল জমা দেয় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ১ অক্টোবর নির্মান বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা বিল পরিশোধের জন্য সুপারিশ করে। এরপর ৩মাস পেরিয়ে গেলেও আজো ওই বিল পরিশোধ করা হয়নি।

মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম মেনে ৩মাস আগে বিলের জন্য আবেদন করা হয়। বিল পরিশোধের জন্য কারখানার সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর বিল পরিশোধের জন্য সুপারিশ করে দিয়েছে। তবুও তিনি ১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ টাকার বিলটি উত্তোলন করতে পারেননি। যমুনা সারকারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল সেরনিয়াবাত বিল পেতে টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন। টাকা দেইনি বলে তার বিলটি আটকে রাখা হয়েছে।

এছাড়া মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কামাল হোসেন, মেসার্স রিক্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম ও মেসার্স নিলয় নির্জয় এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমুল হাসান বাবু একই অভিযোগ করে বলেন, কারখানার হিসাব ও অর্থ শাখা থেকে টাকা ছাড়া কোন বিলই উত্তোলন করা যায় না।

এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল সেরনিয়াবাতের সাথে মুটোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিষয়টি তার জানা নেই।

এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: শহিদুল্লাহ খান বলেন, কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে নির্মান বিভাগ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বিল পরিশোধের জন্য কেউ টাকা চেয়েছে এমন অভিযোগ তিনি এখনো পাননি বলে জানান।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----