বেলকুচিতে জেকে বসেছে শীত, গরম কাপড়ের সন্ধানে নিম্নবিত্তদের ফুটপাতে ভিড়
উজ্জ্বল অধিকারী: তাঁত শিল্প প্রধান যমুনা নদী বেষ্টিত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা। টানা দুই বছর করোনা আর বন্যায় তাঁতের কাচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে এই শিল্পে ধ্বংস নেমেছে। ধ্বংসের কারণে এই অঞ্চলের একতৃতীয়াংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
যার কারণে এ এলাকার মানুষের বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মাঝে এই এলাকায় জেকে বসেছে শীত। শীতের তীব্র প্রকোপের কারণে এই অঞ্চলের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাইতো শীত নিবারনের জন্য ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ভিড় দেখা দিয়েছে।
ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে কিনতে আসা কয়েকজন সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশী শীত পড়েছে। কুয়াশা আর দুই দিন যাবৎ সূর্যের দেখা মিলছে না। সেই সাথে বাতাসও রয়েছে।
বাতাস থাকায় শীতের তীব্রতা আরো বাড়ছে। এতে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাঁতের ব্যবসাও খারাপ যে আমরা ভালো শীতের কাপড় চোপড় কিনবো। ব্যবসা ভালো না থাকায় দৈনিন্দিন জীবন পাড় করাই কঠিন এর মধ্যে ভালো শীতের কাপড় কিনবো কি দিয়ে। এখন শীতের তীব্রতা সহ্য না করতে পেরে এসেছি ফুটপাতে গরম কাপড়ের জন্য। বাঁচতে তো হবে। তাই ভালো মন্দের হিসেব আমাদের কাছে নেই। ফুটপাতের দোকানের গরম কাপড় আমাদের জীবন বাঁচাতে পাড়ে। তাই এখান থেকে কম দামের মধ্যে নিজে ও পরিবারের জন্য শীতের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ দিনের মধ্যে আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এই জেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি আরো দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া জানালেন, আমরা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় থেকে কিছু শীতার্তদের জন্য শীত কম্বল পেয়েছি। এগুলো জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দুস্থদের তালিকা তৈরি করে বন্টন করা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।