সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পঞ্চগড়ে ১ আসনে বইছে সম্রাটের ট্রাকের গনজোয়ার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারনায় শেষ মূহুর্তে জমে উঠছে ভোটের আমেজ৷ পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ১ ও পঞ্চগড় ১ আসন৷ সংসদীয় প্রথম এই আসনেও ভোটের ডামাডোল ছড়িয়ে পড়েছে হাট-বাজার,জেলা শহর থেকে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে৷

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড় ১ আসনে ৬ জন প্রার্থী অংশ নিলেও তাদের মধ্যে ৫ জনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। লড়ছেন দলের প্রতীক নিয়ে৷ তবে এ আসনে ব্যতিক্রম প্রার্থী হলেন আনোয়ার সাদাত সম্রাট। তিনি প্রথম বারের মতো এ আসনটিতে সাধারণ ভোটার ও তার দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে আসনটিতে ব্যপক জনপ্রিয়তায় রয়েছেন। বর্তমান এই আসনটিতে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ও হেভিওয়েট প্রার্থী

আনোয়ার সাদাত সম্রাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন,পরে তার কাজে খুশী হয়ে সেই উপজেলার মানুষ তাকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে দাড়িয়ে দিলে আবারো নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন৷ পরবর্তীতে তাকে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সমথর্ন দিলে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কাজের সন্তোষ হয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবেও দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেন৷

এ আসনটিতে বিএনপি ও জাতীয় পাটি নির্বাচনে অংশ না নিলেও রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাটের পক্ষে রয়েছে জাতীয় পাটির নেতাকর্মীরারা। তারা সমথর্ন দিয়েছেন সম্রাটকে৷ ফলে সরেজমিনে দেখা যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ট্রাক প্রতীকের ব্যাপক সাড়া ফেলেছে৷ এই আসনটিতে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাটের ট্রাক ও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার নৌকার লড়াই হবে৷ বাকি চার প্রার্থী মাঠে নেই বললেই চলে।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন,এই আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সম্রাট অংশ নেয়ায় আসনটিতে প্রচারণা,প্রচারণা ও মানুষ তথা ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে৷ তারা বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় সম্রাটের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন আওয়ামীগের বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষরাও। ফলে ভোটের মাঠে ট্রাকের উঠেছে গনজোয়ার৷

জানা যায়,আনোয়ার সাদাত সম্রাট দীর্ঘ দিন ধরে তিন উপজেলায় গরীব,অসহায় ও সাধারণ মানুষের সুখে দু:খে ছুটে বেড়ালেও কখনও সাধারণ ভোটাদের কাছে কিছুই চাননি তিনি শুধু চেয়েছেন তাদের কাছে দোয়া। তাই এই আসনের সাধারণ জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল আকাঙ্খা ছিল সম্রাটকে একটি বার হলেও ভোট দেবেন। কিন্তু সম্রাট আগে কখনও সংসদ সদস্য পদে অংশ না নেয়ায় সেই আশা পূরণ করতে পারেননি তারা। তবে সম্রাট তার দলের দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা দেন। তবে তিনি এবার দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন না করার। পরে জনগনের অনুরোধে এ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন সম্রাট৷

জানা যায়,তিন উপজেলার আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার তথা,পাথর শ্রমিক,চা শ্রমিক,চিনিকল শ্রমিক,চা চাষী,আখ চাষী,পাথর ব্যবসায়ী,কৃষক ও দিনমজুরসহ নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া বঞ্চিত, নির্যাতিত ও নিপিড়ীত অসহায় মানুষদের জোর অনুরোধে জেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও প্রশাসক,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন৷ শুধু তাই নয় তারাই ট্রাক প্রতীক নিতে আনোয়ার সাদাত সম্রাট অনুরোধ করেন৷ ফলে তাদের ভাগ্য বদলের জন্য সফল এই রাজনীতিবিদ লড়ছেন ভোটের মাঠে৷

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়,আনোয়ার সাদাত সম্রাটের পক্ষে কাজ করছেন এসব খেটে খাওয়া মানুষরা৷ সারাদিন মাঠে -ঘাটে,নদী কিংবা চা বাগানে কাজ করে সাধারণ মানুষরা সম্রাটের ট্রাক মার্কার প্রচারণা,মিটিং মিছিল ও উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন৷ নেন না কোন পারিশ্রমিক। নিজ খরচে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যােগ দিচ্ছেন পথসভায়। নিজ খরচে লাগিয়েছেন ট্রাকের পোস্টারও৷

নাম প্রকাশ্য কয়েকজন নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার জানান,আমরা গরীব মানুষ,আমরা কখনও রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করিনি৷ আমাদের গরীব মানুষের বিপদ হলে সম্রাট খবর পেলেই ছুটে আসেন। কিন্তু যিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তাকে আমরা চিনি না। তিনি কখনও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেননি৷ কখনও দলীয় নেতাকর্মীদের খবর নেননি৷ তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধার ও কৃষকের সন্তান জননেতা আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোটের মাঠে নামিয়েছি৷ সম্রাট এমপি হলে আমরা সাধারণ মানুষ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভাল থাকবো। আমাদের রাস্তা ঘাট,জেলার উন্নয়ন হবে৷ আমরা চা পাতার ভাল দাম পাবো, সনাতন পদ্ধতিতে পাথরও তুলতে পারবো৷ নদীতে পাথর কুড়াতে পারবে৷ আমরা আমাদের বিপদে আপদে পাশে পাব তাকে। আর সম্রাটকে দিয়ে আমরা স্মার্ট পঞ্চগড় গড়বো৷

এনিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন,আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি আমার দলের ত্যাগী নেতাকর্মী ও আমার তিন উপজেলার খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের জন্য৷ তারাই আমাকে মনোনীত করেছেন এবং আমার যে প্রতীক সেই ট্রাক প্রতীক আমার এই আপন মানুষগুলোই পছন্দ করে দিয়েছেন৷ আমার কর্মী সমর্থক তারাই৷ আমি যেহেতু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাদের বিপদে আপদে পাশে থেকেছি,জেলার যে কোন সমস্যায় তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে ছিলাম তাই তারা এবার আমাকে ভোট দিতে আগ্রহী হয়েছে৷ তাই তারা আমার জন্য তারা মাঠে কাজ করছে৷ আমি গর্বিত,আমি কৃষকের সন্তান৷ আমি গর্বিত আমার সকল কর্মীরা কৃষক,শ্রমিক ও দিনমজুর৷ সাথে ব্যবসায়ী ও নেতাকর্মীরাও আমার পাশে রয়েছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই নিজের পরিবর্তন নয়,আমার ভোটার ও পঞ্চগড়ের উন্নয়নে আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে বলে আশা করি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----