শুক্রবার, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জনমানুষ ও নেতাকর্মীদের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন সম্রাট, লড়বেন ট্রাক প্রতীকে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন -০১ ও পঞ্চগড় ১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার সাদাত সম্রাট। তিনি এবার নির্বাচনে লড়বেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে।

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রতীক বরাদ্দের দিনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা থেকে তাকে ট্রাক প্রতীক দেয়া হয়। এদিকে আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপই তার নির্বাচনী এলাকা,পঞ্চগড় সদর,আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় আ’লীগের তৃনমুল নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষরা আনন্দ ও উল্লাস করে আনন্দ মিছিল করেছেন৷

আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনোয়ার সাদাত সম্রাট মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে জমা দেন তিনি । পর গতকাল শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে শেষ দিনে আ’লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে আ’লীগের একক স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে যান সম্রাট৷

তবে আনোয়ার সাদাত সম্রাট মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা দিলেও দায়িত্ব ছেড়ে দেন তার দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপর। অবশেষে দলের নেতাকর্মীর ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে এবং তাদের ভাগ্য বদলের জন্য প্রথমাবের মতো এ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হলেন হার না মানা সফল চেয়ারম্যান নামে খ্যাত আনোয়ার সাদাত সম্রাট। তিনি আসনটিতে লড়বেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার সাথে।

এই আসনেটহতে অন্য প্রার্থীরা হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মশিউর রহমান বাবুল, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বি.এস.পি) আব্দুল ওয়াদুদ (বাদশা)। মুক্তিজোটের আব্দুল মজিদ। তবে এ আসনটিতে একই দলে দুজন জাতীয় পাটির প্রার্থী থাকায় তারা প্রত্যাহারের আবেদন না করায়ে আবু সালেক ও আব্দুর রহিমের মনোনয়ন বাতিল স্থগিত রেখেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।তবে এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্ত।

জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতে খরি এই তরুণ নেতার। বর্তমানে পর পরে দুই মেয়াদে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রথমে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে বিপুল ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এবং সেই নির্বাচনেও তিনি বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। সেই জেলা পরিষদেও তিনি প্রতিনিধিদের ব্যাপক ভোটে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত৷ পরবর্তীতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হলে তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়ার আস্থা ও নির্ভরতায় তিনি দুই দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।

এছাড়াও আলহাজ্ব মো আনোয়ার সাদাত সম্রাটের বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নুরুও পঞ্চগড় ১ আসন থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে ছিলেন।তিনি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন, এবং একজন জাতির সূর্যসন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রাজনীতিতে তিনি একজন সৎ ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে এখনও মানুষের মুখে ব্যাপক পরিচিত।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়