শুক্রবার, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও ২ আসনে নৌকার মনোনয়ন চান মোহাম্মদ আলী !

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

শেখ হাসিনা সরকার,আজীবন দরকার এ স্লোগান বুকে ধারণ করে চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়েও করছেন উঠান বৈঠক। তাই দলমত নির্বিশেষে তৃণমূলের ভোটাররা আগামী নির্বাচনে তাকে নিয়ে ভাবছেন।

মোহাম্মদ আলী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে ১৯৭০ সালে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও কলেজে ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক থাকাবস্থায় তিনি সহ চার ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

যার ফলে পিতা শহীদ আকবর আলীকে পাক বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফেরারির মতো প্রায় এক বছর ঘুরে বেড়ান। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ওই উপজেলায় নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ, কাঁচারাস্তা পাকাকরণ, বিদ্যৎ সংযোগ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার অবকাঠামো নির্মাণসহ কৃষি ও বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার কথা ভেবে শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

যা ২০১৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারিকরণ করেছেন। এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য সেবন প্রতিরোধ, বিক্রি, পাচার, বন্ধ ও চোরাচালান, নাশকতা, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেন। এ ছাড়াও ১৯৮৬ হতে ২০১৯ পর্যন্ত প্রত্যেকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ দবিরুল ইসলাম এম.পি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসা চলাকালে গোটা নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে জামায়াতের প্রার্থীর পরাজয় ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে আনেন। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণীত হয়ে ছাত্রাবস্থায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে দলের জন্য অনেক ঘাত-প্রতিঘাত দ্বন্দ সংঘাত সহ্য করেছি। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে যাওয়ার কারণে পাক বাহিনী আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফেরারির মতো প্রায় এক বছর ঘুরে বেড়িয়েছি। ১/১১ এর সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেলও খেটেছি। ২০০৪ সাল থেকে অদ্যাবধি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দলকে সু-সংগঠিত করে রেখেছি। বিগত সময়েও মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এবারো মনোনয়ন চাইবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো ইনশাল্লাহ।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়