সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

একটি হুইল চেয়ারের অভাবে হামাগুড়ি দিয়ে চলে আনোয়ার !

                            একটি হুইল চেয়ারের অভাবে হামাগুড়ি দিয়ে চলে আনোয়ার ! - সংবাদের আলো
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাসিন্দা আনোয়ার মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী। জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স ২৬ বছর ৭ মাস ৯ দিন। তার সমবয়সী অন্যরা কেহ সংসার পেতে কর্মব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছেন। সেই বয়সে আনোয়ারের কাটছে ঘরে বসে। ঘর থেকে বের হতে হলে হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে তাকে।
প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার কারণে জন্মের পর থেকে হাঁটতে পারে না আনোয়ার। তাই মা-বাবা তাকে কাজের ফাঁকে বসত ঘরে বসিয়ে রাখে না হয় বাড়ির সামনের রাস্তায় হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করে। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে এমনটি করতে হয় বলে জানান আনোয়ারের  মা-বাবা।

আনোয়ার হোসেন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর গ্রামের রেজাউল আলম ওয়াদুদ ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে। শনিবার তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আনোয়ার বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় দু’ হাতে ভর দিয়ে হামাগুড়ি করে চলাফেরা করছে।

শারীরিক প্রতিবন্ধী আনোয়ার বলেন, আমি হামাগুড়ি দিয়ে দুই হাতের ভর দিয়ে চলাফেরা করি। দুই হাতেই শক্ত হয়ে আছে। সরকার ও ভিত্তশালীরা তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আকুতি জানিয়েছে আনোয়ার। এভাবে আর চলতে পারছে না সে।

এ সময় তার মা আনোয়ারা বেগম  ও বাবা রেজাউল আলম ওয়াদুদ জানান , জন্মের পর থেকেই তাদের কোলে বড় হয়ে ওঠে আনোয়ার। জন্মগত ভাবেই ছেলেটি শারীরিক প্রতিবন্ধী,তার দুই পা সরু,বাকা হওয়ায় বাবা-মা তার চিকিৎসার জন্য ছুটছেন এদিক-ওদিক। যা সম্পদ ছিল তার চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে। এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি। একটি টিন সেট ঘরে কোন রকমে বসবাস করে প্রতিবন্ধী আনোয়ার  মিয়ার পরিবার।  তার বাবা সংসারের ঘানি টানতে অন্যের জমি বর্গাচাষি হিসেবে চাষ করে । কোনো রকম দিনাতিপাত করলেও একটি হুইল চেয়ার ও একটি বাথ রুম চেয়ার কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। এর আগেও আবেদন করলে কোন কিছুই পায়নি।

একটি হুইলচেয়ার না পেয়ে নিরাশ হয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আনোয়ারের  মা আনোয়ারা আক্তার বাবা রেজাউল আলম ওয়াদুদ আকুতি জানিয়েছেন, অন্তত একটি হুইল চেয়ার ও একটি বাথ রুমের চেয়ার হলে কিছুটা হলেও স্বতি পাওয়া যেত।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রহমান জানান,এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করলে তারপর এক সাথে আমরা জেলা প্রতিবন্ধী ও সাহায্য কেন্দ্রে প্রেরণ করব। তারা যাচাই বাছাই করে এসব দিয়ে থাকেন। তবে এ ব্যাপারে ইউএনও মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, বিষয়টি জেনেছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----