বেলকুচিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বেলকুচিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ - সংবাদের আলো
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের ১৬ লক্ষ টাকা ও গাছ বিক্রি, পুরাতন ঘর বিক্রয়ের ২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদি ও অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্যগণ।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মাদ্রাসার শিক্ষক সংকট দেখা দেওয়ায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগের পিছনে প্রত্যেক শিক্ষকের নিকট থেকে মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় বাবদ নেওয়া হয়েছে ৪ লক্ষ করে মোট ১৬ লক্ষ টাকা। যা মাদ্রাসার উন্নয়ন খাতে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা না করে বরং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদি ও অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মোল্লা সেই টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়াও ২ বছর আগে রেজুলেশন কিংবা বিক্রয় কমিটি না করে সভাপতি ও অধ্যক্ষের সুবিধা ও খেয়াল খুশি মতো মাদ্রাসার পুরাতন ঘর, গাছ বিক্রি করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মাদ্রাসায় জমা না দিয়ে সকল টাকা সভাপতি বদিউজ্জান বদি এবং অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মোল্লা আত্মসাৎ করেন। এতে নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পরার মতো ৯ বছর পার হয়ে গেলেও কোন উন্নয়ন হয়নি।
এ বিষয়ে দেলুয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমি ভিনদেশী মানুষ। সভাপতি এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়োগের বিষয়ে আমি কোন টাকা নেইনি। তবে টাকা পয়সা নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানেন মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদি। পুরাতন ঘর ও গাছ সভাপতিকে জানিয়েই বিক্রি করেছি। রেজুলেশন না করে পুরাতন ঘর ও গাছের বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন রেজুলেশন করা আছে তবে অনেক আগের বই তো এই জন্য খুঁজতে সময় লাগবে। পরে দেখিয়ে দেবো তিনি আরো বলেন সভাপতি আমাকে যে ভাবে নির্দেশনা দিয়ে দেন আমি সে ভাবেই মাদ্রাসা পরিচালনা করি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলেন, মাদ্রাসায় ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা মাদ্রাসায় উন্নয়ন খাতে ব্যয় বাবদ নেওয়া হয়ে ছিলো। কিন্তু মাদ্রসায় কোন উন্নয়ন না করে সভাপতি বদিউজ্জামান বদি ও অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মোল্লা টাকা গুলো আত্মসাত করেন। ৯ বছর হয়ে গেলেও মাদ্রাসায় উন্নয়নের কোন ভুমিকা নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার কোন হিসেব পাচ্ছিনা। তিনি মিটিং করেন না। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কতৃপক্ষ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্রার্থীদের নিকট থেকে ২০-৫০ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সে সব টাকা পরীক্ষা নেওয়ার পিছনে খরচ করা হয়েছে। তা বাদে আর কোন টাকা পয়সা কারও নিকট থেকে গ্রহণ করা হয়নি। তবে রেজুলেশন না করে পুরাতন ঘর ও গাছ বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সুদুর কোন উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস,এম গোলাম রেজার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, যে সময় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ঐ সময় আমি এখানে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারছি না।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।