শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেলকুচিতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুল ছাত্রীকে হত্যা বখাটের মৃত্যুদণ্ড

                            বেলকুচিতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুল ছাত্রীকে হত্যা বখাটের মৃত্যুদণ্ড - সংবাদের আলো

উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুল ছাত্রীকে হত্যা বখাটের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির, স্কুল ছাত্রী পূজা সরকার (১৪) হত্যা মামলায় বখাটে শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র সরকার (২২) কে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ দিয়ে আদালতের স্টেনোগ্রাফার  রাশেদুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীন শোলাকুড়া গ্রামের শ্রী পবিত্র সরকারের কন্যা পূজা সরকার শোলাকুড়া মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। প্রতিবেশী বখাটে যুবক শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র সরকার প্রায়ই প্রেম নিবেদন করে পূজা সরকারকে বিরক্ত করতো। পূজা সরকার তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ইতোমধ্যে পূজার বাবা অন্যত্র পূজাকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্র খুঁজতে থাকেন। ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে পাত্রপক্ষ পূজা সরকারকে দেখতে আসেন। এতে সঞ্জয় সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে

পূজা সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ০৩/০৫/২০২১ খ্রি. তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় পূজা সরকার বাড়ীর উঠানে রান্না করার জন্য একাকি কাঁচা মরিচ বাচতেছিল। আসামী সঞ্জয় চন্দ্র সরকার পূর্ব পরিকল্পনা মতে উক্ত সময় একটি ধারালো ছুরি নিয়ে বাদীর বাড়ীতে প্রবেশ করে পিছন দিক থেকে পূজা সরকারকে অতর্কিতে আক্রমণ করে এলোপাথারীভাবে পূজা সরকারের শরীরে বিভিন্ন অংশে উপর্যুপরি আঘাত

করতে থাকে। এ সময় পূজা সরকারের চিৎকারে তার বাবা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আসামী সঞ্জয় চন্দ্র সরকার পূজা সরকারের মৃত্যু নিশ্চিত করে ধারালো ছুরি হাতে দৌড়ে পালিয়ে যায় ।

অতঃপর মৃত পূজা সরকারের বাবা শ্রী পবিত্র সরকার বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেন। সঞ্জয় চন্দ্র সরকার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। সাক্ষ্য সমাপ্তি অন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ অদ্য রায় ঘোষণা করে আসামী শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র সরকারকে কারাগারে প্রেরণ করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পি, পি আব্দুর রহমান এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ প্রবীর কুমার চন্দ (কার্তিক)।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়