নারীর আত্মরক্ষায় ভিন্নধর্মী জুতার উদ্ভাবন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর
সংবাদের আলো: জরুরি অবস্থায় নারীদের সহায়তার জন্য ভিন্নধর্মী জুতার উদ্ভাবন করেছে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিনাত।‘স্মার্ট জুতা’ নামে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লোকেশন ট্র্যাকিং, এসএমএস ও লাইভ কলের মাধ্যমে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যাবে পুলিশ কিংবা স্বজনদের। জুতাজোড়া হাঁটার সময় অটোমেটিক চার্জ হবে এবং এতে লাগানো আছে জিপিএস ট্র্যাকার। আরও সংযুক্ত আছে ২৫০ ভোল্টের ইলেকট্রিক শক গান। স্মার্ট জুতার বিষয়ে আবদুল্লাহ আল সাইম বলেছে, যদি একজন নারী হেনস্থার শিকার হন, বা তাকে টেনে হিঁচড়ে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়, এ অবস্থায় তিনি সাহায্য চাওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কাউকে কল দিতে অথবা মেসেজ দিয়ে সাহায্য চাইতে দেরি হয়ে যেতে পারে। এইজন্য নিনাতের তৈরি করার জুতায় সে একটি জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করেছে।’ জানা গেছে, কোন নারীর সহায়তার প্রয়োজন হলে, জুতার সামনের দিকে একবার প্রেস করলে জিপিএস ট্র্যাকারে সেট করা নির্দিষ্ট একটি নাম্বারে একটি মেসেজ যাবে।
দুইবার ক্লিক করলে সরাসরি একটি কল যাবে, যার মাধ্যমে ঐ ব্যক্তি বুঝতে পারবে তার সহায়তা প্রয়োজন। তখন জিপিএস এর মাধ্যমে লাইভ লোকেশন দেখে উদ্ধার করা যাবে তাকে। এছাড়াও ওই অবস্থায় তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য অন্য জুতার ইলেক্ট্রিক শক গানটি ব্যবহার করতে পারবে। জুতার নিচে পিজোইলেকট্রিক প্লেট থাকায় হাঁটার সময় এই জুতা সয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যায়। উদ্যমে ক্ষুদে বিজ্ঞানী নিনাত বর্তমানে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তার পুরো নাম আবদুল্লাহ আল সাইম। শুধু জুতাই নয়, বিমান, ড্রোন, অন্ধ মানুষের চশমা, রাডারসহ আরও অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে সাইম।
মা শাহনাজ আরা শারমিন জানান, ছোটবেলা থেকেই ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কাজ করার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল সাইমের। এসব কাজে তাকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করেছেন তিনি। তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা তাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি ভাবে সহায়তা পেলে নিনাত তার এই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির জন্য আরও বিভিন্ন উদ্ভাবনী জিনিস তৈরি করতে পারবেন।’
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।