বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সুপারের অপসারণ দাবি

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দবিরগঞ্জ আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার শেফায়েত উল্লাহ’র বিরুদ্ধে অসদাচরণ,নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে প্রতিবাদ সভা  ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও স্থানীয়রা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসা হল রুমে প্রতিবাদ সভা করে মাদ্রাসার সামনে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার তৌহিদুর রহমান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক অবরোধ থেকে তুলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,শিক্ষার্থী হাসান মতিউর,ইকবাল,মিম। এসময় বক্তরা বলেন,আমরা গত ২৮ আগষ্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে আসছি। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি,মানববন্ধন করেছি। তাতেও যখন কোন কাজ হচ্ছে না তার কারনেই আজ আমরা অভিভাবক ও এলাকাসী স্থানীয়দের সহযোগিতায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছি। আমাদের দাবী না মানা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচী চলতে থাকবে।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার তৌহিদুর রহমান মানববন্ধনে বলেন, মাদ্রাসা সুপার শেফাত উল্লাহ অসদাচরণ, নানান অনিয়ম দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে, দবিরগঞ্জ বাজারে মার্কেট ভাড়ার টাকা,পুকুর লিজের টাকা আত্মসাত করেছে। তিনি ৫০ লাখ ২৭ হাজার টাকা হিসাব না দিয়ে সে টাকা আত্মসাত করেছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটিতে অযোগ্য লোকজন দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এখন এলাকাবাসী এসবের জবাব চাইলে তার সদ উত্তর না দিয়ে সুপার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যে কারণে মাদ্রাসায় বর্তমানে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তারা অতিদ্রুত সুপারের অপসারণ দাবি করেন।

সুপারের বিরুদ্ধে সকল আনিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে দবিরগঞ্জ আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার শেফাত উল্লাহ’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো করেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন প্রকার অর্থ আত্মসাত করা হয়নি। যখন যা খরচ করা হয়েছে তার ভাউচার সংরক্ষিত রয়েছে। কিছু স্থানীয় লোকজন ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে লাগানো হয়েছে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন,মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----