৩০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী গোষ্ঠ লীলা ও নইয়ের মেলা জৌলস হারিয়ে এখন বিলুপ্তির পথে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঐতিহ্যবাহী গোষ্ঠ লীলা ও ঐতিহ্যবাহী নইয়ের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এই উৎসব জৌলস হারিয়ে এখন বিলুপ্তির পথে। শনিবার (৯ নভেম্বর) তাড়াশ পৌর সদরে দিনব্যাপী গোষ্ঠ লীলা উৎসব উপলক্ষ্যে ঘোষ পাড়া মহল্লায় নইয়ের মেলাও বসে। সরেজমিনে দেখা যায়, দোকানীরা তাদের নইয়ের প্রসরা সাজিয়ে বসে আছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নই কেনা বেচা হচ্ছে। প্রতি কেজি নই ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নই বিক্রেতা গোপাল সরকার জানান, প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনা গোষ্ঠ লীলা উপলক্ষ্যে এখানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলা বসেছে। এ বছর চিনির দাম বেশী হওয়ার কারনে নইয়ের দামও বেশী। নই বিক্রেতা বিপ্লব সরকার জানান, নই বলতে বুঝায় মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার কে। চিনি ঘন জাল দিয়ে নই তৈরী করা হয়। নই দেখতে কিছুটা চকের মত।
অপরদিকে নইয়ের মেলার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তাড়াশ বাজারের বিশিষ্ট ও সাবেক পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ জানান, নইয়ের মেলা উপলক্ষ্যে গোঁসাই বাড়িতে কৃষ্ণ , বলরাম গোপালের ভোগ দেয়া হয়। ভোগ দেবার পরে ভক্তবৃন্দ কৃষ্ণ, বলরাম, গোপাল কে তাড়াশ সদরের সকল বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রতিটি বাড়ির লোকজন সাধ্যমত কদমা, বাতাস, ক্ষীর, নই দিয়ে আপ্যায়ন করে। গোষ্ঠ লীলা ও নইয়ের মেলা সম্পর্কে তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিল্পি রানী কর্মকার বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা যা প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। অতিতে ব্যপক আকারে হলেও বর্তমানে এটি অনেকটাই জৌলস হারিয়ে ফেলেছে। এই মেলা বাংলাদেশে বিরল। এটি অনেক পুরাতন ঐতিহ্য তাই এখানকার সনাতনি ধর্মাবলির লোকেরা এখনও এটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।