রবিবার, ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

হিল্লা বিয়ে নিয়ে মসজিদে সংঘর্ষে তাবলিগের ১২ জন নিহত, যা জানা গেল

সংবাদের আলো ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ রকম বহু গুজব মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছে। এমন এক গুজব হিল্লা বিয়ে নিয়ে সংঘর্ষ এবং এতে ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা। সম্প্রতি সুন্দরী মহিলাকে হালালা বা হিল্লা বিবাহকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের একটি মসজিদে ঘটা সংঘর্ষের ঘটনায় তাবলিগ জামাতের ১২ জন নিহত হয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হালালা বিবাহকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মসজিদে তাবলিগ জামাতের ১২ জন নিহতের দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান ও সাবেক দুই খতিবের অনুসারীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিওকে হিল্লা বিবাহ নিয়ে সংঘর্ষের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।দাবির বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটির কয়েকটি কি-ফ্রেম রিভাস ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘হঠাৎ কী ঘটেছিলো বায়তুল মোকাররমে? কেন সংঘর্ষ? | Baitul Mukarram Clash | Jamuna TV’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে দাবিকৃত ভিডিওর দৃশ্যের মিল দেখা যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বর্তমান ও সাবেক খতিবের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মূলত, নামাজের আগে বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা পুরোনো খতিব মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। নতুন খতিবের কাছে থাকা মাইক্রোফোনে পুরোনো খতিব হাত দিলে বর্তমান খতিবের অনুসারীরা প্রতিবাদ করেন। এরপর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। এছাড়া কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলেও একই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যার সঙ্গেও আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এই ঘটনায় কারো নিহত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।সূত্র: জনকন্ঠ

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়