প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ৬:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৪, ২০২৪, ৭:২২ অপরাহ্ণ
হাজির হচ্ছেন না বেনজীর,সময় চাইবেন আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল আলোচিত, বিতর্কিত পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ আগামী ৬ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হচ্ছেন না। আগামী ৯ জুন তার পরিবারের কোন সদস্যও দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হবেন না। বেনজীরের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর বদলে বেনজীর আহমেদ একজন আইনজীবীকে পাঠাবেন। যে আইনজীবীকে দায়িত্ব দেয়া হবে সময় চাওয়ার জন্য। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তিকে যদি দুদক তলব করে সেক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হতে হবে। যদি কোন কারণে তিনি হাজির হতে না পারেন তাহলে তিনি সময়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে ১৫ দিনের জন্য সময় দেয়া হবে।' সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে বেনজীর আহমেদের আইনজীবীরা ১৫ দিনের সময় প্রার্থনা করবেন।
তবে শেষ পর্যন্ত বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হবেন কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের আইনি সহায়তার জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেনজীর আহমেদ এ বিষয়টি অন্যভাবে ফয়সালা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে তিনি হয়তো এখন থেকে স্থায়ীভাবে বিদেশে থাকবেন। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী প্যানেলের একজন আইনজীবী বলেছেন, বিদেশে থাকলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুয়ায়ী তার বিচারের কোন বাঁধা নেই। এরপরের আইনগত প্রক্রিয়া কি এমনটি জানতে চাইলে ঐ আইনজীবী বলেন, বেনজীর যদি ৬ তারিখে হাজির না হন তাহলে তিনি সময়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ওই আবেদনের পর আর সময় বৃদ্ধি করা হবে না।
সেক্ষেত্রে তিনি যদি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন না করেন তাহলে এগুলো সত্য বলে ধরে নেয়া হবে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ও মামলা করা হবে। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পুঙ্খানু-পুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে যদি দেখা যায় অপরাধগুলো সত্যি সত্যি সংগঠিত হয়েছে সেক্ষেত্রে দুদক আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় চার্জশিট দাখিল করবে। এই চার্জশিটের পরপরই আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এরপরও যদি তিনি বিদেশে পালিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে এবং বিচারে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হবে বলেও আইনজীবীরা দাবি করেছেন।' উল্লেখ্য, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য এখন গণমাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা তার বিপুল সম্পদের কথা প্রকাশিত হচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে, তারা নির্মোহ ভাবে তদন্ত করছে এবং শেষ পর্যন্ত যদি তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এবং উৎস না জানিয়ে সম্পদের পরিমাণ জানা যায় সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.