সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

হাওর এলাকায় পানি কমলেও, শিশু ও গো-খাদ্যের সংকট চরমে

                            হাওর এলাকায় পানি কমলেও, শিশু ও গো-খাদ্যের সংকট চরমে - সংবাদের আলো

নিজস্ব সংবাদদাতা, মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদনে হাওর এলাকার পানি কিছুটা কমলেও বন্যায় পানিবন্দি মানুষের দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে।শিশুদের খাবার , যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে উপজেলার নদীগুলোতে পানি কমতে শুরু করলেও খুব বেশি কমেনি হাওড়ের পানি।
সরেজমিনে উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিবন্দি এলাকায় দেখা যায়, পানিবন্দি মানুষরা কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে।

আবার কেউ চলে গেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে রাস্তার পাশে ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে  বিশুদ্ধ পানি,শিশু খাদ্য এবং গৃহ পালিত গবাদি পশুর মধ্যে গো খাদ্যের চরম সংকট। এ নিয়ে বন্যার্তরা বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ গবাদি পশু আতিœয় স্বজনদের বাড়িতে কেউ রাস্তায় অস্থায়ী তাবু দিয়ে পশু রেখেছেন। কেউ আবার আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গবাদি পশু নিয়ে গেছেন। রাস্তায় গবাদি পশু রাখা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবাররা। তবে এসব গবাদি পশুর গো-খাদ্য নিয়ে চরম বিপাকে আছেন।

এক দিকে আগাম বন্যায় এসব এলাকার কৃষকের বোরো ফসল আধা পাকা ধান কাটতে হয়েছে। ফলে গবাদি পশুর খড় আর আনা হয়নি। সামান্য কিছু আনা হলেও তাও বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে চরম সংকটে আছে গো-খাদ্যের।

উপজেলার নির্বাহী অফিসারের  কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পৌর সদরসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৫১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার পরিবার  ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পানি বন্দি ৩০ পরিবারের মাঝে জিআর চাল ৬০.৫ মেট্রিক টন, শুকনা খাবারের প্যাকেট ৮শ ও নগদ ৩লাখ টাকা    বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার মাঘান,গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে পানি উঠেছে। মানুষ সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠলেও গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। গরু রাখার মতো কোনো জায়গা খোঁজে পাচ্ছেন না। গো খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

গোবিন্দশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন  বলেন, উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমার এ ইউনিয়নটি। যতেষ্ট পরিমানের ত্রাণ পাচ্ছি। এর পরেও চাহিদা রয়েছে। শিশু খাদ্য  ও গো-খাদ্যের । বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। বরাদ্দ না থাকায় এসব পাচ্ছি না। আশা করছি সরকার অচিরেই বিষয়টির দিকে নজর দেবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ বলেন, উপজেলায় যতেষ্ট পরিমানে ত্রাণ রয়েছে। তবে শিশু খদ্য ও গো-খাদ্যের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যেই চলে আসবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়