নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাডায় অবস্থানরত স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীবৃন্দের আহবানে সদ্য প্রয়াত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সাবেক ছাত্রনেতা শফী আহমেদ স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ডাকসুর সাবেক এজিএস নাসির উদ দোজ্জার সভাপতিত্বে টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম স্ক্রিনিং সেন্টারে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মনিরুজ্জামান রাজুর সঞ্চালনায় শোক আলোচনার শুরুতেই শোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাসুদ পারভেজ। এরপর এক মিনিট নিরাবতা পালনের মাধ্যমে প্রয়াত সাবেক ছাত্রনেতা শফী আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত সাবেক ৯০ এর আন্দোলনের নেতাকর্মী সহ মুক্তমনের মানুষেরা।আলোচনার শুরুতেই সাবেক ছাত্রনেত্রী ফারজানা আজীম শিউলী বলেন, আশি থেকে নব্বই দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শফী আহমেদের ভূমিকাই উনাকে মানুষের মনে বিশেষ করে সেই সময়ের ছাত্র আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের মনে রাখতে বাধ্য করেছে। আজ তার প্রয়ানে বিদেশের মাটিতে এই আলোচনা প্রমান করে তিনি আছেন, তিনি ছিলেন, তিনি থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
নব্বই দশকের শফী আহমেদের সহযোদ্ধারা বক্তব্যে বলেন, শফী আহমেদ জীবদ্দশায় আন্দোলনের নীতি নির্ধারকদের একজন ছিলেন। অনেক সিদ্ধান্তই তার বলার অপেক্ষায় থাকতো। সহজ সরল ভাষায় তার বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারতেন তার মনের ভাবনা। দেশের জন্য চাওয়া পাওয়া। তিনি মনে প্রানে নব্বই এর দশদফা মনেপ্রাণে ধারন করতেন। যদিও এখনো সেটি দেশে বাস্তবায়ন হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, অদ্ভুদ এক উটের পিঠে আবারো চলছে দেশ৷ গন্তব্যহীন দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে শফী আহমেদের মতো মানুষের বড় বেশী প্রয়োজন আজ। শফী আহমেদ জীবনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিকভাবে সামনের কাতারে আসতে না পারলেও, আপোষ করেননি সময়ের সাথে। বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন সাবলিল চিত্তে। তার কাজই তাকে দেশে বিদেশে তার প্রয়াণে স্মরণ সভা প্রমান করে তিনি কতোটা আপন ছিলেন রাজনীতিতে সাবেক সহ মুক্তমনার মানুষের মাঝে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শফি আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেবার নির্বাচন না হওয়ায় তার আর ভোট করা হয়নি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন শফি আহমেদ। তবে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
গত ৩ জুন সন্ধ্যায় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মহসীন,আলমগীর টুকু,সাওগত আলী সাগর,ড: মোহাম্মদ বাদল,বেনজীর আহমেদ, রেজা অনিরুদ্ধ,আসমা আহমেদ মাসুদ, সাবিনা শারমিন, সোলায়মান তালুত রবিন, আজফর সৈয়দ ফেরদৌস,মনির হোসেন ফকরুল ইসলাম চৌধুরী মিলন,এনায়েত করিম বাবুল,শ্রাবণী সরকার প্রমুখ।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.