আজিজুর রহমান মুন্না: গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জে বিএনপি কর্মী  সুমন, আব্দুল লতিফ ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি  মামলা দায়ের   করা হয়।

এ তিনটি  মামলার আসামী হন,   সাবেক মন্ত্রী সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক এমপি  জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, অপসারণকৃত পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, অপসারণকৃত সদর উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন সহ মামলার আসামীদের মধ্যে আরও  রয়েছেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কে.এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাবু তালুকদার, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট-২০২৪) সন্ধ্যা রাতে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা তিনটি হত্যা মামলার দায়ের করা হয়। সুমন হত্যা মামলায় ১৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় এক শ থেকে দেড় শ জনকে আসামি করে সুমনের বাবা মোঃ গঞ্জের আলী মামলা করেন। আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় ১৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামী করে মামলা করেন নিহতের বোন সালেহা খাতুন।

জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু নিহতের ঘটনায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় এক’শ থেকে দেড়’শ জনকে আসামী করে মামলা করের নিহতের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন,  সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হুমায়ুন কবির।