সেলিম রেজা: “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব১২) দেশের বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
গত ২৭/০৫/২০০৮ তারিখে রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় পাবনা শহরস্থ সাদ্দাম হোটেলের সামনে আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বাকবিতন্ডার জের ধরে পরের দিন ২৮/০৫/২০০৮ তারিখ রাত্রী অনুমান ০৩ টার সময় পাবনার পৈলানপুর চৌরাস্তা মোড়ে ছুরিকাঘাতে মোঃ রাহাত চৌধুরী হীরা (২৪) নিহত হয়। বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর হীরা হত্যা কান্ডের প্রেক্ষিতে পাবনা সদর থানার মামলা নং-৩৭, তারিখ ২৮/০৫/২০০৮, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত হত্যা মামলার রায়ে বিজ্ঞ আদালত ০২ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড, ০৩ জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বাকী ৪ জন আসামীকে খালাস দেন। ইতোপূর্বে উক্ত মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর আসামী মিজানকে ৮ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে গ্রেফতার করে র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের সহযোগিতায় র্যাব-১২,সিরাজগঞ্জ উক্ত হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী তুষার (৩৪), পিতা-মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, সাং- পৈলানপুর, থানা ও জেলা-পাবনা কে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করে গত ২২/০৭/২০২৩ তারিখ ঢাকার কামরাঙ্গীরচর নবীনগর এলাকা থেকে আসামী তুষারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত আসাামী হত্যাকান্ডের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করেছিল। কিন্তু সে র্যাবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারেনি।
উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ধৃত আসামী তুষার একাধিক মামলার পলাতক আসামী এবং এলাকায় সে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং ডাকাত নামে পরিচিত। আসামীর বিরুদ্ধে নাটোর জেলার লালপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫ বি এর ১(বি) ধারায় এবং পাবনা সদর থানার মামলা নং-৭৪ তারিখ ২৫ জানু ২০১৯, ধারাঃ ১৪৩/৩২৪/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ধারায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.