জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে জুয়া খেলা চলছে প্রকাশ্যে। থানা পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি, পুলিশ বলে এটা নলেজে আছে। তবে এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি জানা নেই।
বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, এনায়েতপুর থানার জালালপুর এলাকায় খোলা মাঠে তাবু টাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর। এলাকার চিহ্নীত জুয়াড়ি চক্রের নেতৃত্বে জালালপুর খোলা মাঠে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তাশ ও জুয়ার আসর। ওই জুয়ার আসরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কুখ্যাত জুয়াড়িরা এসে সমাবেত হচ্ছে। দুর-দুরান্ত থেকে আসা জুয়াড়িরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে এবং প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই টাকা খুইয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব।
অসাধু কর্তাদের নিরবতায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালাচ্ছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর। এ জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে নেশা গ্রহণ সমান তালে চলায় জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে বসছেন পথে। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, প্রতিদিন হাজার টাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে জুয়াড়িরা। অনেকে জুয়া খেলে শুন্য হাতে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। জুয়ার ও নেশার টাকা জোগাড় করতে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা চুরি, ডাকাতী পকেটমারাসহ নানারকম অপকর্মের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, আমি নিজে জুয়া বন্দের চেষ্টা করেছি। না পেরে ওঠে থানা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। পুলিশ শুধু বলে নলেজে আছে। গত ২৮ তারিখে উপজেলা আইন শৃঙ্খলার মিটিংয়ে সরাসরি বললাম তারপরও কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জুয়ার পাশাপাশি মাদক কারবারিও চলছে। এখানে এনায়েতপুর থানা এলাকা সহ শাহজাদপুর, বেলকুচি ও পাবনা জেলার তরুণ সমাজ ও ব্যবসায়ী সহ বহু পরিবার জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকায় চুর, ছিনতাইয়ের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বেলকুচি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানা জানান, ভিডিও পাঠান, জুয়া বন্দে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।