শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়ায় মাদ্রাসা সুপারকে শোকজ

উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সুপারকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হক বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই কারণ দর্শানো পত্র প্রদান করেন। এই পত্রটি আজ বৃহস্পতিবার  মাদ্রাসা সুপার পেয়েছেন বলে জানা গেছে।  দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে  আয়া রত্না খাতুন ও নৈশ প্রহরী নাঈম হোসেন ক্লাস নিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে ২০ জানুয়ারি তারিখে ঢাকা জার্নালে “উল্লাপাড়ায় নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া দিয়েই চলছে পাঠদান”  শিরোনামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ উক্ত মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিন কে কারণ দর্শানো পত্রটি প্রদান করেন। ওই প্রতিবেদনে এই মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী নাঈম হোসেন ও আয়া রত্না খাতুন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রায় দেড় বছর ধরে এই মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষক নেই। ফলে তাদেরকে বিশেষতঃ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নিয়মিত বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ক্লাস নিতে হয়। এই প্রতিবেদনে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও খুব কম উল্লেখ করা হয়েছে। বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)  দুপুরে কথা বললে তিনি কারণ দর্শানোপত্র পেয়েছেন বলে জানান। সুপার বলেন, তার মাদ্রাসায় শিক্ষক সংকটের কারণে নিরুপায় হয়ে তিনি নৈশপ্রহরী ও আয়া দিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন। এক সঙ্গে ইবতেদায়ী ও মাধ্যমিক শাখায় ক্লাস শুরু হলে প্রথম ঘন্টা থেকেই দুটি ক্লাস ফাঁকা থাকে। আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়া অনিয়ম স্বীকার করে শফিক উদ্দিন বলেন, আয়া রত্না খাতুন সম্মান (অনার্স) পাস। তিনি শিক্ষার্থীদের খুবই ভালো পড়ান। শিক্ষার্থীরাও তার ক্লাস করতে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে শিক্ষক পাওয়া গেলে রত্না বা নাঈম কখনই আর ক্লাস নেবেন না।  এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম শামসুল হক বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ঢাকা জার্নালে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষক সংকট থাকলেও নৈশপ্রহরী বা আয়াকে দিয়ে ক্লাস নেওয়ানোর কোন নিয়ম নেই এবং ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কেন কম সে বিষয়েও ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়