তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ গৃহস্থলীর কাজের সাথে সাথে হস্তশিল্প কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা প্রত্যন্ত এলাকার প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক গ্রামীণ নারী এ কাজে জড়িত। তাড়াশ রায়গঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারীদের হাতের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে দেশ-বিদেশে। চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি সংগঠন প্রত্যন্ত এলাকা হতে নারীদের তুলে এনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছেন। জানাযায়, চলনবিন উন্নয়ন কেন্দ্র তিন বছর আগে রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক গ্রামীণ নারীকে নানা হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ দেন। এ কাজে তাদের সহায়তা করে কারিতাস বাংলাদেশ ও বেজ ইন্টারন্যাশনাল।
এরপর প্রশিক্ষিত নারীদের গ্রুপে ভাগ করে তাদের দিয়ে তৈরি করানো হচ্ছে কেট বক্স, ডক বক্স, বড় পাতিল, বালতি, হাফ সেলেডার, করাই, ফাইল বক্স, চাকা, কিচেন ডালা সহ হরেক নকশার হস্তশিল্প পণ্য। এসব তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে হোগলা পাতা, সন, তালপাতা, পুরাতন শাড়ী কাপড়। চলনবিন উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে হস্তশিল্প তৈরির কাঁচামাল ও নকশা নারী গ্রুপের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। নারীরা বাড়িতে তাদের গৃহস্থালীর কাজ সেরে দিনভর নিপুন হাতে হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করেন। পণ্য উৎপাদন হয়ে গেলে সংস্থা থেকে প্রতিটি পণ্যর নগদ পারিশ্রমিক দিয়ে নিয়ে দেন। বছরজুড়ে এভাবে নারীরা হস্তশিল্প তৈরি করেছেন। হস্তশিল্পের নারী শ্রমিক, মলিদা খাতুন, রোসনা খাতুন, জাহানারা বেগম, শরীফা খাতুন বলেন আমরা এই কাজ করে মাসে ৭-৮ টাকা আয় করে সংসারের বিভিন্ন কাজসহ ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচে সহায়তা করি।
চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এস এম আব্দুল আজিজ জানান, চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্র সাধারণ মানুষের পাশে ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছেন, আমাদের এখানে নারীরা হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করছেন, তৈরি হরেক রকম পণ্য একটি রুমে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। মাসে দু’বার উৎপাদিত পণ্য খুলনায় কারিতাস বাংলাদেশ ও বেজ ইন্টারন্যাশনাল কাছে পৌছে দেয়া হয়। এরপর তাদের মাধ্যমে এগুলো বিশে^র বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়। আরও বলেন কারিতাশ বাংলাদেশ এবং বেজ ইন্টারন্যাশনাল আমাদের কাছে নকশা ধরে কাজের অর্ডার দেন। এরপর আমরা পণ্য তৈরির জন্য নারীদের কেন্দ্রে কাঁচামাল দিয়ে আসি। তারা সপ্তাহজুড়ে সেগুলো তৈরি করে। আমরা তাদের নগদ পারিশ্রমিক দিয়ে তা সংগ্রহ করি। এরপর খুলনায় কারিতাস এবং বেজ ইন্টারন্যাশনালের কাছে দেই। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রপ্তানী করে থাকেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.