সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জোড়া খুন, চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জোড়া খুনের মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল ও পেশকার আব্দুল মমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের হাসানুর রহমান হাসু, মো. কাওসার আলী, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও জাহিদুল ইসলাম জালিম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের মো. মোতালেব, রেজাউল, সাদ্দাম, মনির হোসেন, আশরাফ আলী, বেল্লাল হোসেন, দুলাল হোসেন ও আব্দুল আওয়াল। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকালে সাইফুল ইসলাম তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসে ছিলেন। এ সময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ এ মামলায় রায় ঘোষণা করলেন আদালত।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।