শুধু পড়ানোর ক্ষেত্রে নয়, হাওরাঞ্চলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া ওই ব্যক্তি মদন উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া। ৩৪ তম বিসিএস কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া। তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও শিক্ষকতা করার সুপ্ত বাসনা এখনো হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি। আর এজন্য সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই চলে যান কোনো স্কুলে।
সোমবার বিকালে পৌর সদরের কোর্ট ভবন পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিকে দেখা যায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মদন থানার ওসি তাওহীদুর রহমান,নির্বাচন কর্মকর্তা হামিদ ইকবাল , স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মনি রানী শাহা ও শ্রেণী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মৌমিতা রায়,মাহি শাহ,দ্রুত শাহা ও আদনান বলে- ইউএনও স্যার আমাদের বাংলা ক্লাস নিয়েছেন। ক্লাসে এসে স্যার আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন এবং মজার গল্প বলেছেন। সেই সঙ্গে কিভাবে পড়া মনে রাখা যায়, সেই নিয়মও শিখিয়ে দিয়েছেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনি রানী শাহা বলেন, ইউএনও স্যার পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ক্লাস নিয়েছেন এবং স্কুল আঙিনা ঘুরে দেখেন। একই সঙ্গে শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শ দেন। মনে হয়েছে যেন শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরাও নতুন কিছু শিখেছি।
ইউএনও শাহ আলম মিয়া বলেন, স্মট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমেই শিশুদের প্রতি নজর দিতে হবে। স্মাট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে শিক্ষা ক্ষেত্রে স্মাট হতে হবে। তাই প্রথম থেকেই প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে প্রতিটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করছি। তাছাড়া আমার বা”চাদের পড়াতে খুব ভালো লাগে। শিক্ষা জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই। ছোট ছোট বা”চাদের পড়ানো অসাধারণ ব্যাপার। এতে দুটি লাভ হয়। এক,বা”চাদের পড়াতে পারছি আবার ওই স্কুলে কোনো সমস্যা আছে কিনা, সেটাও সরেজমিন দেখতে পারছি।
ইউএনও আরও বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারা আমার জন্য একটি গর্বেও বিষয় বলে মনে করি।