সচ্ছলতার স্বপ্ন বিমানবন্দরে আটকে গেল
সংবাদের আলো ডেস্ক: কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউ গরু বিক্রি করে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জমা দিয়েছিলেন। কেউ টাকা সংগ্রহ করেছিলেন ব্যাংকঋণ নিয়ে। কেউবা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করেছিলেন। মালয়েশিয়া গিয়ে ভালো বেতনে চাকরি করে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবেন, এই ছিল স্বপ্ন। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দেশটিতে যেতে না পেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাঁদের। ভিসা ও অনুমোদন জটিলতায় ৩১ হাজার ৩০৪ জন কর্মী আটকা পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দায়িত্বশীল সূত্র। শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসা এসব মানুষ রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তাঁরা বলছেন, কোম্পানিকে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা দিয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে পারলেন না। তাঁদের কেউ বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেননি। অনেকে তিন গুণ বেশি দামে টিকিট কিনেও ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে কাজের অনুমতিপত্র না পেয়ে যেতে পারেননি। তবে এত তাড়াহুড়া করেও অনেকেই বেশি দামে উড়োজাহাজের টিকিট কিনে দেশটিতে গেছেন। সেখানে গিয়েও যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় কেউ কেউ সেখানকার বিমানবন্দরে আটকা পড়েন।
মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের সে দেশে প্রবেশের শেষ দিন ছিল ৩১ মে, শুক্রবার। কর্মী ভিসায় শুক্রবারের পর আপাতত আর কেউ সেখানে ঢুকতে পারবেন না। তাই শুক্রবার ঢাকা বিমানবন্দরে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী গতকাল সিলেটে এক অনুষ্ঠানে বলেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সংকট তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। কত শ্রমিক যেতে পারেননি হিসাব নেই।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।