সংস্কারের নামে বিভাজনের সুযোগ নেই: আলাল
সংবাদের আলো ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমরা আপনাদের সম্মান করি। আমরা আপনাদের অবদানকে স্বীকার করি। একইসঙ্গে বলি যারা অভিজ্ঞ, যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহায়তা নেন। এ সময় সংস্কারের নামে বিভাজনের সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ধর্মের নামে ব্যবসা ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ নাগরিক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে অনেক সমস্যা। অনেক সমস্যা আছে বলেই বিএনপি একমাত্র রাজনৈতিক দল, যাদের পক্ষ থেকে দুই বছর আগে জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে সংস্কার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। এই সরকারও সংস্কারের কথা বলছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ছোট্ট বন্ধুরা, শিক্ষার্থীরাও সংস্কারের কথা বলছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের জন্যই একত্রে, এক মিছিলে, এক কাতারে শামিল হতে চাই। যেখানে ইসলামপন্থি দলগুলো থাকবে। আবার অন্য ধর্মের মানুষরাও থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে যারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারাই সেখানে থাকবে। এখানে বিভাজনের কোনও সুযোগ নেই।’বাংলাদেশের মানুষের যে প্রাণের আকাঙ্ক্ষা, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে একটি ভোট দেওয়া, সেটা পূরণ করতে আপত্তি কোথায়– প্রশ্ন রেখে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের কাছে যে শক্তি, সাহস ও দক্ষতা থাকবে তা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেটা এ সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘ধর্মের নামে, সংখ্যালঘুদের নামে ৫০টি সংগঠন আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল। নতুন করে আরও ১৩টি প্ল্যাটফর্ম দাঁড়িয়েছে। ধর্ম নিয়ে হানাহানি, বাড়াবাড়ির চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো যার যার ধর্ম সুন্দর ও স্বাধীনভাবে পালন করা। দেশের মূল সমস্যা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের দিকে মনোযোগ দেওয়া। সেই প্রয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি আপনাদের সঙ্গে সবসময় থাকবে।’ বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে একাত্তরে যারা পাকিস্তানকে অখণ্ড রাখতে চেয়েছিল, তাদের রাজনীতি ভুল প্রমাণিত হয়। তারা সেই ভুলের মাশুল এখনও দিচ্ছে।’ তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় নাগরিক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ। আরও বক্তব্য রাখেন তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষকদলের কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিস খন্দকার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম প্রমুখ।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।